Friday , 29 March 2024 | [bangla_date]
  1. ! Без рубрики
  2. 1Win AZ Casino
  3. 1Win Brasil
  4. 1win Brazil
  5. 1WIN Casino Brasil
  6. 1win India
  7. 1WIN Official In Russia
  8. 1win Turkiye
  9. 1win uzbekistan
  10. 1winRussia
  11. 1xbet
  12. 1xbet apk
  13. 1xbet AZ Casino
  14. 1xbet Azerbajan
  15. 1xbet Casino AZ

আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর

প্রতিবেদক
admin
March 29, 2024 8:56 am
আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এটা বর্জন করলেই শেষ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও আজকের বাংলাদেশ’শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘অন্তরে মম শহীদ জিয়া’ নামের একটি সংগঠন।

ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আজকে ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য হলো আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা। এটা বর্জন করলেই শেষ। বর্জন করার তো করছেই, এখন এটাকে তাড়ানো যায় কি না। তাহলেই তো শেষ। এই একটা পণ্য বর্জন করলেই তো জাতির মুক্ত হওয়া সম্পন্ন। অন্য পণ্য বর্জন করার প্রয়োজন হয় না আমাদের।’

ভারতের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ১০ হাজার মানুষ ভারতের ভিসার জন্য আবেদন করে। ভিসার জমা ফি বাবদ ৮০০ টাকা করে জমা দিতে হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন ৮০ কোটি টাকা। এটা ভিসা পেলেও ৮০০ টাকা দিতে হবে, না পেলেও দিতে হবে। মাসে দুই কোটি ২৪ লাখ টাকা বাংলাদেশ থেকে ভিসা ফি বাবদ ভারত আমাদের দেশ থেকে আয় করে। তাহলে বছরে কত কোটি টাকা?’

আরও পড়ুনঃ  আ.লীগ কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের দাসত্ব করে না: কাদের

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শুধু কী এটা। এরপর বর্ডার ক্রস করলে দৈনিক কমপক্ষে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়। সাত দিন থাকলে ৩৫ হাজার টাকা খরচ। আসার সময় ৫০ হাজার টাকার বাজার খরচ। এরপর ওষুধ, হোটেল খরচ। আর পণ্য বর্জন কী? বাংলাদেশের মানুষ যদি বলে কাল থেকে ভারতে যাব না, তাদের অর্থনীতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে একবার ভেবে দেখুন।’

জিয়াউর রহমানের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহহমান যদি স্বাধীনতার পাঠক হন, তাহলে লেখক কোথায়? সেই কাগজটি কোথায়? জিয়াউর রহমানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের (বিএনপি) কোনো প্রচেষ্টার প্রয়োজন নেই। জিয়াউর রহমান নিজেই নিজের কর্মগুণে প্রতিষ্ঠিত জাতির অন্তরে, ইতিহাসে। জিয়াউর রহমানকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা কখনোই সম্ভব নয়। আজকের ইতিহাস কখনোই পরিপূর্ণ ইতিহাস নয়।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের ছবি পাহারা দেওয়ার জন্য পুলিশ-র‌্যাবের প্রয়োজন হয় না। কারণ তার ছবি মানুষের অন্তরে আঁকা। অন্তরের ছবি কখনো ফ্যাকাশে হয় না। সুতরাং সেই ছবি কারো পক্ষে ছেড়া সম্ভব না। জিয়াউর রহমান যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রিভোল্ড ঘোষণা করলেন তখন তিনি মাঝারি ধরনের কর্মকর্তা, মেজর। কতটুকু সাহস থাকলে একজন মেজর একটি রেগুলার আর্মির বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রিভোল্ড ঘোষণা করলেন! সেটা বোঝার মতো ক্ষমতা আওয়ামী লীগের কোনো প্রাণীর নেই। এই ধরনের সাহস আওয়ামী লীগের কোনো নেতার নেই। আওয়ামী লীগের সাহস আসে, ক্ষমতায় থাকলে। আর যখন ক্ষমতায় থাকে না, তখন কি অবস্থা তা বলার মতো না।’

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মো. রহমতুল্লাহ, অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার, জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

সর্বশেষ - রাজনীতি