ভৈরবে ট্রলারডুবির ঘটনায় উদ্ধার কাজ সমাপ্ত, নিহত ৯

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযানের কাজ শেষ করেছ। তিন দিনের শেষে লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস নৌ পুলিশ ও বি আই ডব্লিউ টি।

এছাড়াও দুর্ঘটনার দিন একজন নারীকে হাসপাতাল নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। ফলে অভিযান শেষ মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯ জনে।

সোমবার (২৫ মার্চ) উদ্ধার অভিযানের তৃতীয় দিন আরও নিখোঁজ থাকা ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করে অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে।

সোমবার সকাল সারে আটটার দিকে ভৈরবের পুলতাকান্দা ব্রিজ এলাকায় মেঘনা নদী থেকে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫) ও বেলন দে’র (৩৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে দুপুর ১২ টার দিকে পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার ছেলে রাইসুলের (৫) মরদেহ  সৈয়দ নজরুল ইসলাম ব্রিজের পাশ থেকে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯ জনে।

ভৈরব নৌ পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম মনিরুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সোমবার সকাল ৮টার দিকে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা ও বেলন দে’র মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার ছেলে শিশু রাইসুলের (৫) মরদেহটি দুপুর ১২টা নাগাদ পাওয়া যায়।

পরিবারের লোকজন তিনজনকেই শনাক্ত করেছে। প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত পরিবারের কাছে মরদেহ পুলিশ হস্তান্তর করা হবে।

এরআগে রোববার (২৪ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে নরসিংদী জেলার বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকার দারু মিয়ার মেয়ে আনিকা আক্তার (২০), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়ার এলাকার টুটন দে’র স্ত্রী রুপা দে (৩০) ও পুলিশ সদস্য সোহেল রানার মেয়ে মাহমুদার (৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে দিকে সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমি (২৫) ও টুনটুন দে’র মেয়ে আরাধ্যর (১২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

একই ঘটনায় ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর এলাকার সুবর্না বেগম (৩২) নামের এক নারী ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মর্মান্তিক এই নৌ দুর্ঘটনায় তিন শিশু, চার নারী ও দুইজন পুরুষসহ ৯ জনের প্রাণ গেল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *