সোমবার , ২৫ মার্চ ২০২৪ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. আমাদের পরিবার
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাণিজ্য
  10. বাংলাদেশ
  11. বিনোদন
  12. বিশ্ব
  13. ভিডিও
  14. মুন্সীগঞ্জ
  15. রাজনীতি

ভুল চিকিৎসায় যশোরে ২০ রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

প্রতিবেদক
admin
মার্চ ২৫, ২০২৪ ৮:২৫ পূর্বাহ্ণ
ভুল চিকিৎসায় যশোরে ২০ রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

যশোরের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রায় ঘটে ত্রুটিযুক্ত অস্ত্রোপচার। রোগী মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিও তৈরি হয়। গত দুই বছরে ভুল অপারেশনে রোগী মৃত্যুর ২০টি ঘটনার অভিযোগ জমা আছে সিভিল সার্জন অফিসে। তবে এসব অভিযোগের একটিরও সুরাহা হয়নি।

গত বছর জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫ রোগীমৃত্যুসহ ৮টি অভিযোগ পড়লেও প্রশাসনিকভাবে নিষ্পত্তি হয়নি একটিরও। তবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন অফিসের ক্লিনিক শাখা সূত্রে জানা যায়, গত দুই বছরে ভুল অপারেশনে রোগী মৃত্যুর ২০টি ঘটনার অভিযোগ জমা আছে সিভিল সার্জন অফিসে। অভিযোগের তদন্ত শুরু করতে বিলম্বিত হওয়ায় অনেক রোগীর স্বজনরা অভিযোগ তুলে নেন। ফলে মাঝ পথে তদন্ত আটকে যায়।

ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার নাজমুস সাদিক রাসেল জানান, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগের নেই। স্বাস্থ্য বিভাগ শুধু হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু চিকিৎসকদের তদারকি করে বিএমডিসি।

গত বছরের শেষের দিকে শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, যশোর সদর উপজেলার মুনসেফপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুস সাত্তারের মেয়ে রুনা বেগম (২৬), মুড়লি মোড়ের জোড়া মন্দির এলাকার বিপ্লব হোসেনের ছেলে ইরহাম (৪১ দিন), চাঁচড়া মধ্যপাড়ার রবিউল ইসলামের মেয়ে মীম খাতুন (১২), ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা ইউনিয়নের বামন আলী চাপাতলা গ্রামের ড্রাইভার গোলাম রসুলের স্ত্রী আসমা বেগম (৩২) ও মণিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার মিস্ত্রির ছেলে আব্দুল মান্নান (৪০)। এছাড়া অপচিকিৎসা ও প্যাথলজি পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে, ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে অবস্থিত সিটি হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আধুনিক হাসপাতাল, ইউনিক হসপিটাল, উত্তরা ক্লিনিক, কমটেক ডায়গনস্টিক সেন্টার, আল্ট্রাভিশন, পঙ্গু হাসপাতাল, সেন্ট্রাল হসপিটাল, লাইফ কেয়ার, প্রিন্স হসপিটাল অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাসেবার নামে প্রতারণার অভিযোগ ছিল।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াই রোগীদের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কাড়ি কাড়ি টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওই সকল প্রতিষ্ঠানের প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

যশোর আই কেয়ার অ্যান্ড লেজার সেন্টারে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে চিকিৎসা প্রতারণা করা হচ্ছিল। বৈধ কাগজপত্র নেই প্রতিষ্ঠানটির। সম্প্রতি অভিযানে এসব প্রতিষ্ঠানের কোনটি বন্ধ করা হয়েছে, কোনটি আবার সতর্ক করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

যশোর চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএর জেলা সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার এমএ বাশার জানান, চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিষ্পত্তিতে দুই থেকে আড়াই বছর সময় লাগে।

অনেক ক্ষেত্রে মাঝপথে অভিযোগ উঠিয়ে নেয় রোগীর স্বজন। এতে বিপাকে পড়তে হয় প্রশাসনের। জনবল ও বিচারিক সক্ষমতার অভাবে বিচারে এই ধীরগতি। এ ছাড়া নানা সংকটে স্বাস্থ্য বিভাগ জর্জরিত।

এ বিষয়ে যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাক্তার আহসান হাবিব বলেন, চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষার দায়িত্ব চিকিৎসকদের। সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে আইন করতে যাচ্ছে। আইনটি বাস্তবায়ন হলে কমে আসবে এ পরিস্থিতি।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, এসব হসপিটাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। নির্দেশনা ছাড়া বন্ধ প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কোনো হাসপাতাল ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হবে না। ত্রুটিপূর্ণ অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনেরা অভিযোগ করলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ - রাজনীতি