আগামী ২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজত জয়ন্তী পালন করবে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গত ২২ মার্চ প্যারিসে অবস্থিত ইউনেস্কো সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত নির্বাহী পর্ষদের ২১৯তম সভায় বাংলাদেশ এ সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করে।প্রস্তাবের প্রতি ৬৩টি সদস্য রাষ্ট্র সমর্থন জানায়।ফলে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।
ইউনেস্কোর এই সিদ্ধান্তে মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও প্রচার কার্যক্রমকে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর এ বিষয়ে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেছে নির্বাহী পর্ষদ।
এছাড়া ভাষার সার্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করা ও প্রতিবন্ধকতা নিরসনের লক্ষ্যে ইশারা ভাষাগুলোকে সকল মাতৃভাষার মতো সমান গুরুত্ব ও সম্মানের সঙ্গে সংরক্ষণের আহবান জানানো হয়েছে।
এ সিদ্ধান্তের ফলে ২০২৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ইউনেস্কোর সদর দপ্তর, আঞ্চলিক ও স্থানীয় দপ্তরগুলোতে দিবসটির রজত জয়ন্তী পালনের অনুমোদন দিয়েছে নির্বাহী পর্ষদ।আর সংস্থার সব সদস্য রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজত জয়ন্তী পালনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রস্তাব নির্বাহী পর্ষদের অনুমোদন লাভের পর বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা ইউনেস্কোর সকল সদস্য রাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।
এ সিদ্ধান্তের ফলে আগামী বছর মাতৃভাষা সংরক্ষণে দেশে ও বিদেশে বড় পরিসরে নানা কর্মসূচি গৃহীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোর ৩০তম সাধারণ পরিষদের সভায় ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।