স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নিকট অতীতের ইতিহাস সুখকর নয়: কাদের

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নিকট অতীতের ইতিহাস সুখকর নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র আমদানি হয়ে প্যাকেটের মধ্যে পড়ে থাকে, কিন্তু ব্যবহার হয় না- এই ইতিহাস আমাদের আছে।

তারপর জীবন-মরণ পরিস্থিতিতে ল্যাব থেকে এনে শেষ মুহূর্তে কাজে লাগানো হয়েছে। আমাদের হাসপাতাল আছে, চিকিৎসকরাও ভালো, তারপরও কোথায় যেন সংকট রয়েছে। এখানে স্বচ্ছভাবে দায়িত্ব পালন খুব চ্যালেঞ্জিং। এই দায়িত্বটা সম্মিলিতভাবে সবাইকে নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের দিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যথার্থ ব্যক্তিকে মূল্যায়ন করা, বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা- এটা আমাদের দলের নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি।

আমার ধারণা তিনি তার যোগ্যতার প্রমাণ দেবেন। আমি মনে করি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নিকট অতীতের ইতিহাস সুখকর নয়।

নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি যখন অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই তখন ডা. দেবী শেঠী আমাদের নেত্রীর অনুরোধে এসেছিলেন। তিনি এসে একটা সিদ্ধান্ত দিতে পেরেছিলেন।

সিদ্ধান্তটা খুব জরুরি ছিল। সে অনুযায়ী আমাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিন-চার মিনিট বেশি চলে গেলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ছিল না। এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব চ্যালেঞ্জিং। আলী আহসান সাহেবকে যখন দায়িত্ব দেয়া হলো তখন তিনি দ্বিধায় ছিলেন বলে পরে শুনেছি।

কারণ যদি কোনো অঘটন ঘটে যায় তাহলে তাকে এন্টি আওয়ামী লীগ বানিয়ে ছাড়বে। কারণ তিনি সেভাবে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। এসব সমস্যা আমাদের দেশে আছে। তবে তখন অপারেশন করাটা যে সঠিক ডা. দেবী শেঠী স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন।

পদ্মার ওপারে বড় আধুনিক হাসপাতাল করার প্রস্তাব আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের পদ্মার ওপারে বড় আধুনিক হাসপাতাল করার প্রস্তাব আছে। প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন হলে আপনাদের জানাব। আমাদের বড় আধুনিক হাসপাতালের বড় প্রয়োজন।

আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান আ ফ ম রুহুল হকের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এবং দলটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ও উপ-কমিটির সদস্য সচিব ডা. রোকেয়া সুলতানা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *