ইফতারের শুরুতেই ঠান্ডা পানি, স্বস্তি বদলাতে পারে অসুস্থতায়

মধ্য চৈত্রের তাপে পুড়ছে দেশবাসী। এদিকে চলছে পবিত্র রমজান। তাই সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।

স্বাভাবিকভাবেই দিনশেষে তৃষ্ণা পৌঁছে যায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে। আর তাই রোজা খুলেই ঢক ঢক করে ঠান্ডা পানি গিলছেন অনেকেই।

সারাদিনের পর ঠান্ডা পানি পানের যেন মেলে আসল শান্তি। স্বস্তিতে বুজে আসে চোখ। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কাজটি শরীরের জন্য একদমই ভালো নয়। বিশেষ করে যারা রোদ থেকে ফিরে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করছেন তারা বেশ কিছু সমস্যায় পড়তে পারেন। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-

water1

মাইগ্রেন

অত্যধিক ঠান্ডা পানি পানের অভ্যাস মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। যাদের আগে থেকেই এই সমস্যা রয়েছে তারা ইফতারে রোজা খুলেই ঠান্ডা পানি পান করবেন না। এতে মাথাব্যথা হঠাৎ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।

হজমে গণ্ডগোল 

ঠান্ডা পানি হজমের সমস্যা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি, দেখা দিতে পারে পেটে ব্যথা ও ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও। রোদ থেকে ফিরেই কিংবা রোজা শেষ করেই ঠান্ডা পানি খাবেন না। প্রয়োজনে কিছুক্ষণ ধাতস্থ হয়ে এরপর পান করুন।

water2

গলাব্যথা

রোদ থেকে ঘেমেনেয়ে ফিরে কনকনে ঠান্ডা জল খাওয়ার অভ্যাসে বেড়ে যেতে পারে থাইরক্সিন হরমোনের মাত্রা। ফলে থাইরয়েড হওয়ার আশঙ্কা একেবারে ফেলে দেওয়া যাবে না। এমনকি টনসিল গ্রন্থি ফুলে গলা ব্যথার সমস্যাতেও ভুগতে হতে পারে।

ক্লান্তি

অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করলে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবারের মতো স্বাস্থ্যকর উপাদানগুলোর ক্ষয় ঘটতে পারে। ফলে শরীর ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনি সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতার শেষে মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ঠান্ডা পানি পান করলে এই ক্লান্তির পরিমাণ আরও বাড়বে।

water3

তাই ইফতারে বিশেষ করে রোদ থেকে ফিরে ঠান্ডা পানি পানের অভ্যাস একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *