জাকাতের সব টাকা একজনকে দেওয়া যাবে?

জাকাত ফরজ ইবাদত এবং ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। পবিত্র কোরআনে নামাজের পরই সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জাকাতকে।

মুমিনদের পরিচয় সম্পর্কে বলা হয়েছে- ‘তারা এমন লোক- যাদেরকে আমি পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা দান করি, তারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত প্রদান করে, সৎকাজের আদেশ করে ও মন্দকাজে বাধা প্রদান করে।’ (সুরা হজ: ৪১)

ফকির, মিসকিন, জাকাতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তি, ঋণগ্রস্ত, মুসাফিরসহ পবিত্র কোরআনের নির্ধারিত ৮টি খাতে জাকাত দিতে হয়। নিসাব পরিমাণ সম্পদ থেকে ৪০ ভাগের ১ ভাগ বা ২.৫ শতাংশ জাকাত দিতে হয়। চাইলে একজনকেও জাকাতের পুরো টাকা দেওয়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে দেখতে হবে- বেশি দেওয়ার কারণে আবার তার (গ্রহীতার) ওপর জাকাত জরুরি হয়ে যায় কি না।

উদাহরণস্বরূপ- কারো জাকাত এলো ১০ লাখ টাকা। এখন এ টাকা যদি সে একজনকে দিয়ে দেয়, তবে যাকে দেওয়া হলো সে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়ে যাবে। কারণ স্বর্ণের নিসাব হলো ৭.৫ তোলা বা ৯৫.৭৪৮ গ্রাম (প্রায়)। যার দাম ১ লাখ টাকা দরে হলেও হয় সাত লাখ টাকা।

তাই ফুকাহায়ে কেরামের বক্তব্য হলো- কাউকে এই পরিমাণ জকাত দেওয়া মাকরুহ যার দ্বারা সে নেসাবের মালিক হয়ে যায় এবং জাকাত ওয়াজিব হয়ে যায়। তবে দিলে আদায় হয়ে যাবে। আর যদি জাকাতগ্রহীতা ঋণগ্রস্ত হয় কিংবা তার পরিবার খুব বেশি অভাবগ্রস্ত হয় তাহলে তাকে উক্ত পরিমাণের চাইতে বেশি দেওয়াও জায়েজ। (আল মাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ: ২৩/৩১৭)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *