![](https://alordhara24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চৌধুরী বাড়ি এলাকায় ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লক্ষী নারায়ণ কটন মিলস উচ্চ বিদ্যালয় স্কুলের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিনে দিনে হ্রাস পাচ্ছে সেই সাথে মেধা তালিকায় পিছিয়ে পড়ছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মন্ডলী ও ম্যানেজিং কমিটির দ্বায়িত্বে থাকা প্রতিনিধিদের অনেকের অবেলা ও উদাসীনতার কারনে খুঁড়ে খুঁড়ে চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর।
শিক্ষার্থীদের জন্য ৬ ষ্ঠ তলার দুটো নতুন ভবন নির্মিত হলেও এখনো তা উন্মোচিত হয়নি তাই ঝড়াকৃর্ণ ঝুঁকি পূর্ণ ভবনে অবহেলায় চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
সূত্রে যানা যায় , ঐতিহ্যবাহী লক্ষী নারায়ণ কটন মিলস উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৪৭ সালে গড়ে উঠে। এক সময় মেধা তালিকার শীর্ষে ছিল। এলাকাবাসী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষক মন্ডলীর অক্লান্ত পরিশ্রমে এই প্রতিষ্ঠানটি সুনাম অর্জন করেছে।
কিন্তু আজ এ সুনাম ধ্বংসের পথে। এর কারন হিসেবে স্হানীয় একালাবাসী মনে করেন শিক্ষক মন্ডলীর শিক্ষার্থীদের পাঠদানে উদাসীনতা ও তাদের কোচিং বাণিজ্য সেই সাথে অদক্ষ ম্যানেজিং কমিটি।
তথ্য সূত্রে আরো যানা যায় যে, গত ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ৬ষ্ঠ তলার দুটো নতুন ভবন নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত ভবনগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বরাবর বুজিয়ে দেয়া হয়নি। ফলে শিক্ষক মন্ডলী ও শিক্ষার্থীদের জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবস্থান করতে হচ্ছে ।
নাজুক ভবনে পাঠদানের কারনে দিনে দিনে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
এ বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র দাস এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য মাননীয় এ,কে,এম শামীম ওসমান এর সহধর্মিণী লিপি ওসমান ভবনের বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন। কিন্তু আমারা এখনো কোন ফলাফল পাইনি।
স্হানীয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডে চিত্তরঞ্জন ও লক্ষী নারায়ণ এ দুটো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন ভবনগুলো এখনো বুজিয়ে না দেয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সহ এলাকাবাসীর কাছে নানা ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। দ্রুত এর সমাধান চাই।