বিসিকে শ্রমিক পুলিশের সংঘর্ষ: গুলিবিদ্ধ দুই জনসহ ৩০ জন আহত

ফতুল্লা বিসিক শিল্প নগরীর এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে সড়ক অবরোধের ঘটনায়, ক্রোনী গ্রুপের অবন্তী গার্মেন্টসের শ্রমিকদের বাধা দিলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে অবরোধকারীদের।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এসময় বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা পুলিশের জলকামান ভাঙচুর করেছে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের শাসনগাঁও এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত ওই সংঘর্ষে পুলিশ ও শ্রমিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। রাস্তার দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় দুইজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুলিবিদ্ধ দুই শ্রমিক হলেন- আব্দুর রাজ্জাক (৩৩) ও মোছা. চাঁদনী খাতুন (২৪)।

এদিকে সড়ক অবরোধ করে থাকা শ্রমিকদের সরে যেতে বললে তারা পুলিশের উপর ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ উপায়ন্তর না পেয়ে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। মালিকপক্ষ পরবর্তীতে মঙ্গলবার বেতন দিতে রাজি হলেও শ্রমিকরা তা মানেনি। তারা আজই বেতন চায়।

শ্রমিকরা জানান, গত ৮ এপ্রিল দুপুর পর্যন্ত কাজ করার পর কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ঈদের আগে বোনাস পেলেও মার্চ মাসের বেতনটি তাদের বকেয়া ছিল। কারখানার মালিক ঈদের আগেই মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করবেন বলে আশ্বাস দিলেও তা পাননি শ্রমিকরা। এতে ঈদের মধ্যে অর্থ সংকটে দিন কাটিয়েছেন বলে জানান শ্রমিকরা। ক্রোনী গ্রুপের রপ্তানিমুখী এ পোশাক কারখানাটিতে অন্তত ৭ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্স) সেলিম বাদশা জানান, শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন বকেয়া ছিল ঈদের আগে। বোনাসও একসাথে দেয়ার কথা ছিল। ঈদের আগে বোনাস দিলেও মার্চ মাসের বেতন দিতে পারেনি মালিকপক্ষ। তবে মালিকপক্ষ কথা বলে ঠিক করে নিয়েছিল শ্রমিকদের সাথে। আজ কাজে যোগ দিয়েই তারা বেতন চায়। বেতন বৃহস্পতিবার দিতে চাচ্ছিল মালিকপক্ষ। এ নিয়ে কথা চলার মাঝেই শ্রমিকরা সড়কে নেমে পড়ে।

ক্রোনী গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার ইনতিসার আহমেদ জানান, আমরা ২০ তারিখ কারখানা খুলেছি, ২২ তারিখ বেতন দেয়ার কথা ছিল। সকালে শ্রমিকরা এসে আজই বেতন চায়। পরে তারা সড়ক অবরোধ ও কারখানায় ভাংচুর চালায়। ঈদের আগেই তাদের সাথে ২২ তারিখ বেতন দেয়া হবে বলে কথা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *