বন্দরে মডেল মসজিদের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করলেন সেলিম ওসমান

সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র শীর্ষক প্রকল্পের আওতাধীন নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় মডেল মসজিদের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। রোববার (৯ জুন) বেলা ১২টায় কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বন্দর উপজেলা পরিষদের পাশেই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্থরের উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।

এসময় বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এ মুহাইমিন আল জিহানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- বন্দর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহাম্মেদ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয়রা।

ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের পর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিম ওসমান বলেন, এই মসজিদের কাজ উদ্বোধন করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমাদের সবার সহযোগীতা থাকলে এটা আকটা অত্যাধুনিক মসজিদ হবে। তবে, দেশের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। তারজন্য একটু সময় লাগবে, আপনার ভয় পেয়ে জাইয়েন না।

তিনি বলেন, ইদানিং গরুর হাট নিয়ে আবার শুরু হয়েছে। এত বছরের গরুর হাট নিয়ে কোন কথা বলতে হয় নাই। এখন সরকারি/বেসরকারি উভয় এখন হাট নিয়ে ব্যবসা-বানিজ্য করতেছেন।

আমি এমনও দেখেছি, একটি হাট বরাদ্দ দেওয়ার পর তার হাফ কিলোমিটার পরে আরেকটি হাট বরাদ্দ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য জেলায় এমপির অনুমোতি সাপেক্ষে হাটের অনুমোতি দেওয়া হয়, কিন্তু নারায়ণগঞ্জের ব্যপারে এটা উল্টা। হাট বানাইছেন ঠিক আছে, এই হাট নিয়ে যদি কোন অরাজকতা হয়, সরকারি কর্মকর্তা যারা আছেন; আমি কাউকে ভয় পাই না। এই হাট নিয়ে যাতে কোন অরাজকতা না হয়, গুন্ডামি না হয়; তার ব্যবস্থা আপনারা করেন। পুলিশ, ইউএনও সাহেবের উপর দায়িত্ব হাটকে সামাল দেওয়ার। আমার বন্দরে হাট নিয়ে যাতে কোন অশান্তি না হয়।

তিনি আরও বলেন, বন্দরে দুই-একদিন আগে একটা হত্যা হইছে। পিটিয়ে নাকি মানুষ মেরে ফেলে। এটি তো আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম দেখে, এগুরোর বিচার হতে হবে। আমি তো এখন আর বেশি বন্দরে আসি না। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে, আরেকজনের জমিতে সাইনবোর্ড লাগানো।

ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে, বালুর ব্যবসা করতে হলে বালু আমার কাছ থেকে নিতে হবে। একটা স্থানের ভিডিও করে পাঠিয়েছিলাম। ডিসি-ইউএনও সাহেব বলেছিলেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি জানি না কি ব্যবস্থা নেওয়া হইসে। মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে, এই মাটি কে কাটে? আমরা কি জানি না। আমার প্রশাসন কি জানে না। তাহলে ব্যবস্থাটা কোথায়।

যেখানে নিষেধ করা আছে যে, কৃষি জমির মধ্যে হাত দেওয়া যাবে না। সেই জায়গায় ট্রাকে করে মাটি উপরে ফেলতে চায়। এটা তো হতে পারে না। আমরা কি রাতকানা নাকি দিনকানা। ইমান ঠিক রাখেন, ইনশাআল্লাহ আমাদের মাঝে ঢুকে ইবলিশ কোন ক্ষতি করতে পারবে না। ইবলিশের আগমন হয়েছে।

বন্দরের উন্নয়ন নিয়ে সেলিম ওসমান বলেন, বন্দরবাসীর কাছে আমি বার বার অনুরোধ করছি, আপনারা আপনাদের জমি বিক্রি করে দিয়েন না। এই বন্দর কি হবে, তা আপনি কল্পনায়ও দেখেন নাই। কয়েকদিন আগেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার প্রায় দেড় ঘন্টা একক ভাবে বন্দর নিয়ে আমার আলোচনা হযেছে। শান্তিচরের জমি একোয়ার করতে গিয়ে দেখি এর কাগজপত্র কই গেলো কেউই জানে না। ১৫০০ বিভা জমি ছিলো। এই জমি খায় কে। কারা খাচ্ছে। আমরা নিজেরা কখনো আইন হাতে তুলে নিবো না। আইনের মাধ্যমেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *