পাঠানটুলিতে লন্ডন প্রবাসী আব্দুল কুদ্দুসকে মেয়ে দিয়ে ব্ল্যাকমেইল

নাসিক ১০ নং ওয়ার্ড পাঠানটুলিতে লন্ডন প্রবাসী আব্দুল কুদ্দুসকে মেয়ে দিয়ে ব্ল্যাকমেইল। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থেকে তথ্য নিয়ে জানতে পারি গত ২৪/৫/২৪ ইং তারিখে লন্ডন প্রবাসী আব্দুল কুদ্দুস একটি অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগটির নাম্বার ২৫০২ ।

সেই অভিযোগ মারফৎ জানতে পারি আবদুল কুদ্দুস (৬৩ ) দীর্ঘ দিন ধরে লন্ডন প্রবাসী থাকায় গত ১ বৎসর যাবত তিনি বাংলাদেশে আসেন এবং তার নিজ বাড়ি পাঠানটুলিতেই থাকেন। বাংলাদেশে নারায়ণগঞ্জ পাঠানটুলিতে তার পরম আত্মীয় বলতে কেউ নেই । কারন তার স্ত্রী সন্তানরাও লন্ডন প্রবাসী । তারা কেউ বাংলাদেশে আসবেও না আর এই বাড়িতে থাকবেও না।

যেহেতু আবদুল কুদ্দুস বয়স্ক আর হুজুর ধরনের মানুষ তার চিন্তা ভাবনা সে পরবর্তী জীবনে তার নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশেই স্থায়ীভাবে বসবাস করবেন । সেই সূত্র ধরেই তিনি তার বাড়ির কাজ ধরে ৫ তলা পর্যন্ত কমপ্লিট করে সুন্দর ভাবে বসবাস করতে শুরু করেন। এরেই মধ্যে আমরা অভিযোগটি আমলে নিয়ে সরাসরি আবদুল কুদ্দুস সাহেব এর সাথে কথা বলি।

সাংবাদিক প্রথম প্রশ্নই ছিল কুদ্দুস সাহেব কেমন আছেন ? তিনি উত্তরে বলেন আলহামদুলিল্লাহ ভাল। আচ্ছা কুদ্দুস সাহেব আমরা দেখলাম আপনি একটি অভিযোগ করেছেন সিদ্ধিরগন্জ থানায় আসল ঘটনাটি একটু খুলে বলুনতো? তিনি বললেন দেখেন ভাই আমি স্থির করেছি লন্ডনে আর যাব না বাকী জীবনটা বাংলাদেশই কাটাবো। যেহেতু এখানেই থাকবো আর আমার স্ত্রী সন্তানরা এখানে আসবে না, আমি কি একা থাকবো আমার খাওয়া দাওয়া ও খেদমতের জন্য একজন সাথীতো লাগবে, তাই না ? সেই হিসাবে আশেপাশের মানুষ জেনেছে।

জানার পর আমি মনোস্থির করলাম মেয়ের বয়স ৪০/৪৫ হলে ভাল হয় এরকম একজন সাথী নিয়ে আমি ঘর সংসার করবো। কিন্তু এই ভদ্রলোক সিদ্দিকুর রহমান কোথা থেকে জেনে আমার বাসায় এসে হাজির, আমার সাথে মিল মহব্বত করে তার অল্ল বয়সের মেয়ে মোসামৎ আয়েশা ( ১৮ ) কে আমার গাড়ে চাপিয়ে দেয়।

আমি শত চেষ্টা করি আপনি কি বলছেন এটা আমার মেয়ের বয়সের চেয়েও কম বয়স ওকে বিয়ে করবো না, সে আমাকে হাদিস শোনিয়ে চুপি চুপি কাউকে না জানিয়ে হিপনোটিজম ব্ল্যাকমেইলিং করে বিয়ে পড়িয়ে দেয়। আমি না করা সত্বেও দুইদিনের মধ্যে বিয়ে পড়ায় ।

তারপর বিয়ের দুইমাস না পেরোতেই আমার সাথে বিভিন্ন ইসু নিয়ে ঝগড়া এবং রাতে ঘুমিয়ে আছি একদিনতো আমার গলায় টিপ দেয় আমি কোনরকমে হাতটা সরিয়ে উঠে বসে পড়ি এবং কাউকে বুঝতে দেই না স্ত্রী কে বলি এমনভাবে গলায় ধরলে আমিতো মারা যাব।

তারপর আর একদিন ঝগড়া করে বলে বাড়িঘর তার নামে লিখে দিতে এবং তার মা বাবাকে এই বাড়িতে এনে রাখতে। আমি সহজ সরল মনে যাক তার মা বাবা কে এনে একটি ফ্লাটে থাকতে দেই। ভেবেছি অন্য জায়গায় ভাড়া না থেকে আমার এখানেই থাকুক। থাকার পর থেকেই আরও বেশী অশান্তি শুরু হলো আজ সেটা লাগবে কাল সেটা লাগবে, সে থাকবে না চলে যাবে। বিভিন্ন তালবাহানা ।

আর তার মা বাবাও এখানে ঘাটি মেরে বসেছে এবং মানুষের কাছে বলে বেড়াই এই বাড়ি একদিন তার মেয়ের নামেই হবে। কুদ্দুস নিজেই লিখে দিতে বাধ্য হবে নয়তো অন্য ব্যবস্থা। এসব আলোচনা আমার কানে আসতে থাকে। আমি বললাম তোমার বাবা মা কে যেতে বল। এখানে থাকার দরকার নেই । কিন্তু আমার স্ত্রী আয়েশা উল্টো আবার ঝগড়া, আমিও থাকবো না। হঠাৎ একদিন দেখি স্ত্রী আয়েশা নেই তার বাবা মা- ও নেই।

রুমে আলমারিতে থাকা টাকা স্বর্ণালংকার ও কাচের জিনিস বাবদ প্রায় ৯ লক্ষ টাকার মালামাল নেই । সেই থেকে আজ পর্যন্ত উদাও। আমি বাধ্য হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করি। তার পরের ঘটনা আপনাদের নিশ্চয়ই জানা।

এখন শোনছি সে নাকি প্রেগনেন্ট বিভিন্ন মানুষের কাছে বলে বেড়ায়, থানা থেকে বলছে এটার একটা সুরাহা দরকার কিন্তু তার বাবা সিদ্দিকুর রহমান একদিন দেখা করেন থানায়, সেও বলে আসেন তার মেয়ে নাকি প্রেগনেন্ট , ঠিক আছে প্রেগনেন্ট হলে টেষ্ট করাবো চিকিৎসা করাবো সে আসুক।

আগের যেই বাসায় থাকতো সেই বাসায় আর থাকে না কিন্তু কোথায় থাকে কোন হদিস নেই নাম ঠিকানাও দেয় না। তবে আমরা তথ্য নিয়ে জানতে পারি এই সিদ্দিকুর রহমান এর গ্রামের বাড়ি শিল্টা, রাজপাট, কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জ ।

তার সম্বন্ধে আরও তথ্য নিয়ে জানতে সে কৃষক শ্রমিক দলের নাম দিয়ে জামাত শিবিরের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত । এই নিয়ে একদিন আব্দুল কুদ্দুস সাহেব এর সাথে ঝগড়া হয়।

কুদ্দুস সাহেব এর বাসায় থাকার সময় জামাতের বিভিন্ন বই পুস্তক ছাদে পাওয়া যায় লোকজন নিয়ে মিটিংও করেন। এখন আত্ম গোপনে, আরও তথ্য নিয়ে জানা যায় সিদ্দিকুর রহমান এর আসল উদ্দেশ্য ছিল মেয়েকে দিয়ে তার এই বাড়িটি ছলেবলে কৌশলে দখল করা নয়তো তিনি একজন বাপ হয়ে তার ১৮ বছরের মেয়েটাকে কিভাবে ৬৩ বৎসর ভদ্রলোকের সাথে কৌশলে বিয়ে দেয় ?

তিনি আসলে বাপ নন একজন লোভী মেয়ের পিতা। আর সেই পিতাই লন্ডন প্রবাসী আবদুল কুদ্দুসকে ফাঁসায় । কুদ্দুস সাহেব এখন ভয়ে আতংক বসবাস করছে। বিভিন্ন মানুষ দিয়ে হুমকি দামকি দিচ্ছে জামাত নেতা সিদ্দিকুর রহমান । তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *