নারায়ণগঞ্জে ঘর ছাড়া সাবেক সেনা সদস্যের পরিবার, পাশে পায়নি পুলিশ

 নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক সেনা সদস্যকে মামলা ঠুকে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

একইসাথে সেই ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় সাবেক সেনা সদস্য মোহাম্মদ আলী এখন জেল হাজত ভোগ করছে বলেও দাবি করেছেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী মাকসুদা আক্তার।

এছাড়াও তিনি জানান, বাড়ির মালিক ও পরিবারের অমানবিকতায় তার কন্যাকে নিয়ে পুরনো এক কাপড়েই এখন ঘর ছাড়া হয়ে অন্যের দোয়ারে ঘুরছে। এ ঘটনায় তিনি পুলিশের কাছে সহযোগীতা চেয়েও পান নি বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন গৃহবধূ মাকসুদা।

গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, বাড়িওয়ালা আব্দুল মালেক, ছেলে রোমানের সংশ্লিষ্টতায় তার মেয়ে মনিরা জামান মলি আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত থাকায় সেই প্রভাব খাটিয়ে এসব ঘটিয়েছে।

একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গেল রবিবার বাড়িওয়ালার মেয়ে মলির দায়ের করা মামলায় আইনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন সাবেক সেনা সদস্য মোহাম্মদ আলী।

ওইসময় বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে জামিন না মঞ্জুর হলে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় সাবেক সেনা সদস্য মোহাম্মদ আলীকে।

পরে সাবেক সেনার স্ত্রী আদালত থেকে সরকারী বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন শের-ই বাংলা সড়কের আব্দুল মালেকের ভবনের ভাড়া বাসায় ফেরত গেলে সেখানে গিয়ে ঘরের দরজায় নিজেদের দেয়া তালার উপরে আরেকটি তালা ঝুলিয়ে রাখতে দেখতে পায়।

আর এ বিষয়ে বাড়িওয়ালা আব্দুল মালেকের কাছে জিজ্ঞাসা করতে গেলে তার ছেলে রোমান ও  মেয়ে মনিরা জামান মলি তালা খোলবে না বলে অস্বীকৃতি জানায় এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে ভয়ভীতি দেখান।

তিনি আরো জানান, একপর্যায়ে কোনো উপায় না পেয়ে সেখান থেকে সাবেক সেনার স্ত্রী চলে আসেন।

পরে পুলিশের সহযোগীতা নিতে সন্ধ্যায় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ করতে চাইলে তা নিতে পুলিশ অনাগ্রহ প্রকাশ করে বলে ভুক্তভোগী স্ত্রী জানায়।

যে কারণে নিজ ভাড়া বাসায় প্রবেশ করতে না পেরে এখন বিভিন্ন আত্মীয়ের বাসায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন বলে আক্ষেপ সাবেক সেনা সদস্যের স্ত্রী মাকসুদার।

আর তাই পুলিশের উর্ধ¦তন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে মানবিক বিবেচনা করে আইনহত ব্যবস্থা নিয়ে এ বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধান দাবী করেছেন ভুক্তভোগী সাবেক সেনা সদস্যের স্ত্রী মাকসুদা।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আজম জানান, আমরা তো আর তালা খোলে দেয়ার মত এখতিয়ার রাখি না। কিন্তু আমরা বাড়িওয়ালার সাথে যোগাযোগ করেছি।

তিনি এ বিষয়ে আমাদের রেসপন্স করেনি। এখন তিনি না খোলে দিলে আমাদের কি করার আছে।

এদিকে এ প্রসঙ্গে জানতে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলকে মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেন নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *