![](https://alordhara24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
রাজধানীর সবুজবাগ থানার গৃহবধূর ক্লুলেস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রধান আসামি মুক্তা (৪১) কে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র্যাব জানায়, সোমাবার (২০ মে) সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে র্যাব-১১ ও র্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে ঐ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মুক্তা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার মো. বশির আহম্মেদের স্ত্রী।
র্যাব-১১‘র সদর দপ্তরের মিডিয়া অফিসার সনদ বড়ুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানান, র্যাবের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে, ঢাকার সবুজবাগ থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার বাদী হাজী মো. ইউসুফ আলী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। তিনি বর্তমানে বাসার সামনে একটি মুদি দোকানদারি করেন।
গত বছরের (২০২৩ সালের) ৮ মে অজ্ঞাতনামা ২ জন মহিলা হাজী মো. ইউসুফ আলীর ৩য় তলার বাসা ভাড়া নেয়ার জন্য আসে। বাসা পছন্দ হওয়ার পর ওই ২ মহিলা ৭ হাজার টাকায় বাসা ভাড়া নিতে রাজি হয়। এবং অগ্রীম বাবদ ৫০০ টাকা দিতে চাইলে ইউছুফ আলী তা গ্রহণ করেননি।
তখন মহিলারা পরদিন অগ্রীম ভাড়া দিয়ে বাসায় উঠবে বলে জানায়। পরদিন অজ্ঞাত দুই মহিলা একজন পুরুষ সহ বিভিন্ন রকমের ফল নিয়ে ইউসুফ আলীর দোকানের সামনে আসে। তখন তাহাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাত পুরুষ লোকটি তার সাথে কথাবার্তা বলে এবং মহিলারা তাহার বাসায় যায়।
একপর্যায়ে ওই পুরুষ লোকটিও তার বাসায় যায় এবং কিছুক্ষণ পর তার জন্য এক গ্লাস সরবত নিয়ে আসে। ইউসুফ আলী উক্ত সরবত খেতে অনিহা প্রকাশ করেন। পরে অজ্ঞাত মহিলা ও পুরুষ তার বাসা থেকে দোকানের সামনে দিয়ে চলে যায়। তারা চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ইউসুফ আলীর বাসার কাজের মেয়ে দোকানে এসে তাকে জানায়, তার স্ত্রী বিছানায় শুয়ে কেমন যেন করছে এবং বাসার সকল মালামাল এলোমেলো হয়ে আছে।
তিনি দ্রুত বাসায় গিয়ে দেখেন তার স্ত্রীকে (ভিকটিম) চেতনা নাশক খাবার খাইয়ে বাসায় থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়েছে। তখন দ্রুত স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে গত ১০ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এ ঘটনায় ইউসুফ আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। গ্রেপ্তাকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ডিএমপি সবুজবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।