আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে -চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নান্নু

আগামী ২১ মে ২য় ধাঁপে অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নান্নুর প্রতি অবিচার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নান্নু।

গত রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় এক সাংবাদিকের সাথে মোবাইলে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে কোন কেন্দ্রীয় কর্মসূচীতে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগ জীবন বাজি রেখে সকল কর্মসূচী সফল করেছে।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার নেতৃত্বে উপজেলা যুবলীগের প্রতিটি সদস্য নিজের পরিবার-পরিজনকে ত্যাগ করে বিনাস্বার্থে শরীর, অর্থ আর শ্রম দিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপিকে বিজয়ী করেছি।

গত ৪ মে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সারের বাড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগসহ আওয়ামী লীগের প্রতিটি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের এক মতবিনিময় সভা হয়।

যেখানে সম্মিলিতভাবে আমাকে (রফিকুল ইসলাম নান্নু) এই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে সমর্থন দেন। এরপর ৫ মে উপজেলা আওয়ামী লীগের ৫২জন সদস্যদের মধ্যে ৪৫ জন একটি লিখিত সম্মতি দেন।

যেখানে তারা আমাকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করার মতামত ব্যক্ত করেন। আর ওই সই করা কাগজ আমি চাইলে আমাকে দেওয়া হয়নি।

আমি বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু সবকিছু পাশ কাটিয়ে যে ব্যক্তি সাংগঠনিকভাবে দলীয় কোন কাজে কখনো অংশ না নিয়ে উল্টো গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে মাঠে কাজ করেছে তাকে সমর্থন দিয়েছে। আমি শুধু একটা কথাই বলবো ‘আমার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে, অবিচার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমকে একাধিকবার ফোন করলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে কাউকে সমর্থন দেয়নি।

যদি কেউ দিয়ে থাকে তাহলে সেটা ব্যক্তিগত ভাবে দিয়েছেন। সাংগঠনিকভাবে দিলে সভাপতি হিসেবেতো আমি জানতাম। যেহেতু আমি জানিনা, সেহেতু এর বেশি আমি কিছু বলতে পারবোনা।

উপজেলা আওয়ামী লীগ যদি সাংগঠনিকভাবে সমর্থন না দিয়ে থাকে তাহলে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা বিভিন্ন জায়গায় বাবুল ওমরকে সাথে নিয়ে যে বক্তব্য দিচ্ছেন এবং সেখানে যে ব্যানার ব্যবহার করছেন সেখানে স্পষ্টভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার সমর্থন দিয়েছেন বলে সরাসরি প্রচার করছেন কেন ?

এমন প্রশ্নের উত্তরে সামসুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, এ বিষয়ে তারাই বলতে পারবেন কেন এমনটা বলছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তো স্পষ্টভাবেই বলে দিয়েছেন যে ‘কোন এমপি-মন্ত্রী’ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কোন প্রার্থীকে সমর্থন বা তাদের নির্বাচনী কোন কাজ বা কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অন্যতম চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী হায়দার বলেন, প্রথমত এমপি সাহেবের বাড়িতে যে মিটিং হয়েছে এবং নান্নু ভাইকে সমর্থন দিয়েছে, সে বিষয়ে আমি জানিনা। হয়তো আমি প্রার্থী হয়েছি বিধায় আমাকে জানানো হয়নি।

দ্বিতীয়ত, সাংগঠনিকভাবে যদি দল কাউকে সমর্থন করে তাহলেতো সেখানে আমার কিছু বলার নেই। দল যা ভালো মনে করবে সেটাই করবে।

এমন সময় সাংগঠনিকভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বক্তব্য জানালে তিনি বলেন, সাংগঠনিকভাবে না দিয়ে থাকলে হয়তো ব্যক্তিগত ভাবে সমর্থন দিয়েছেন। তবে, গত সংসদ নির্বাচনে যে ব্যক্তি নৌকার বিরোধীতা করেছে বা দলীয় কোন কর্মসূচীতে অংশ নেয়নি তাকে কেন সমর্থন দিয়েছেন সে ব্যাপারে তিনি বলেন, দল অনেক সময় বিভিন্ন প্যাটানের কারণে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। হয়তো তেমন কিছুর কারণেই করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *