অটোচালক রাজু হত্যা: পুলিশের পর র‌্যাবের হাতে ২জন আটক

পিলকুনী কবরস্থানে অটোরিক্সা চালক মো. রাজু খানের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে। তাদের দাবি আটককৃতরা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামী। শনিবার (১৬ মার্চ) ফতুল্লা থানাধীন পাগলা রেলস্টেশন থেকে ১জন ও তার দেয়া তথ্যমে পূর্ব শাহী মহল্লা এলাকা থেকে আরেকজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় ভিকটিমের চালিত মিশুক গাড়িটির বিভিন্ন খন্ডিত অংশ বিশেষ (মিশুকের স্টিলের বডি ১টি, রিংসহ টায়ার ও টিউব ফিটিং চাকা ৩ টি, ডিফারেন্সিয়াল ১ টি, কন্ট্রোল বক্স ১টি, মটর ১টি, সকেট জাম্পার ১ সেট, হ্যান্ডেল ১টি, পাউডার ব্যাটারী ১টি, কাঠের সীট ১টি, কাঠের হেলনা সীট ১টি এবং ক্যানোপি ১টি) উদ্ধার করা হয় বলে জানায় র‌্যাব।

আটককৃত ব্যাক্তিরা হলো, বাগেরহাট কচুয়া বারদাড়িয়া মৃত মোহাম্মদ আলী শেখ’র ছেলে মো. বুলবুল শেখ ওরফে রাকিব (২৪)। সে ফতুল্লা তাগারপাড় এলাকায় থাকতেন। এছাড়া অপরজন হলো ফতুল্লা পূর্ব শাহী মহল্লা এলাকার মো. সানাউল্লাহ (৫২)। তার ‘সাইফুল সাইকেল হাউজ’ দোকান থেকে ভিকটিমের চালিত মিশুক গাড়িটির বিভিন্ন খন্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়।

গণমাধ্যমে পাঠানো র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বুলবুল ওরফে রাকিব এবং মামলার অপর আসামী মো. পারভেজ দুইজনই মাসদাইর এলাকায় এ্যাডিশন অব ফ্যাশন, চৌধুরী কমপ্লেক্স মাসদাইর গার্মেন্টস কোম্পানীতে চাকুরি করত। গত ১২ মার্চ ওই কোম্পানীতে চুরির দায়ে তাদেরকে কোন প্রকার বেতন-ভাতা না দিয়ে বহিস্কার করা হয়। পরবর্তীতে তারা পরিকল্পনা করে তাদের একই এলাকার পরিচিত মিশুর চালক ভিকটিম রাজুকে পাগলা এলাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভাড়া ঠিক করে। তারা মিশুকে চড়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন পাগলা এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে সময় ক্ষেপন করে এবং নির্জন স্থান খোঁজ করতে থাকে। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১২টায় পিলকুনি বড় কবরস্থান সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠের পাশে নিয়ে গিয়ে বুলবুল শেখ শ্বাসরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে তার পরিহিত প্যান্টের বেল্ট খুলে। অপর আসামী পারভেজসহ ভিকটিমের গলায় পেচিয়ে ভিকটিমকে মাটিতে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে পারভেজ ভিকটিমের গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

র‌্যাব জানায়, মৃত্যু নিশ্চিত হলে দুইজনই মিলে ভিকটিমকে পাশের ডোবাতে ফেলে দেয় এবং তারা ভিকটিমের ভাড়াকৃত মিশুক গাড়িটি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে গাড়ির রং পরিবর্তন করে। পরে পূর্ব শাহী মহল্লা এলাকায় একটি পুরাতন অটোরিক্সা ক্রয়-বিক্রয়ের দোকানে (সাইফুল সাইকেল হাউজ) সানাউল্লাহর কাছে ২৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে। বিক্রিত টাকা বুলবুল ওরফে রাকিব এবং পারভেজ নিজেদের ভিতর ভাগাভাগি করে নেয়। অনুসন্ধানে আরও জানা যায় যে, অভিযুক্ত মো. সানাউল্লাহ চোরাই অটো ক্রয়-বিক্রয়ের চক্রের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং সে চোরাই অটো ক্রয় করে রং পরিবর্তন করার পর বিভিন্ন অংশে ভেঙ্গে বিক্রয় করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *