Sunday , 31 March 2024 | [bangla_date]
  1. ! Без рубрики
  2. 1Win AZ Casino
  3. 1Win Brasil
  4. 1win Brazil
  5. 1WIN Casino Brasil
  6. 1win India
  7. 1WIN Official In Russia
  8. 1win Turkiye
  9. 1win uzbekistan
  10. 1winRussia
  11. 1xbet
  12. 1xbet apk
  13. 1xbet AZ Casino
  14. 1xbet Azerbajan
  15. 1xbet Casino AZ

বিদেশে পাঠানোর নামে বাবা-ছেলের প্রতারণা, ভুক্তভোগী দেড় হাজার

প্রতিবেদক
admin
March 31, 2024 9:11 am
বিদেশে পাঠানোর নামে বাবা-ছেলের প্রতারণা, ভুক্তভোগী দেড় হাজার

কামরুল হাসান (৬৫) ও ফাহাদ হাসান সিয়াম (২৭)। সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। তাদের কাজ হচ্ছে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। কখনো তুরস্কের সেনাবাহিনীতে চাকরির কথা বলে আবার কখনো মালয়েশিয়া, কানাডা ও বিভিন্ন দেশের কাজে পাঠানোর নাম করে দেড় হাজার মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তারা।

বেশ কয়েকটি ভুয়া এজেন্সি খুলে তারা এসব প্রতারণা করতেন। গত কয়েক বছর ধরে তারা এমন কাজ করে আসছিলেন। সম্প্রতি সুনামগঞ্জের সহিদুল নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে ২০ জনের ৩২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তারা। বিষয়টি নিয়ে মামলা হওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। বাবা-ছেলেকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

এর আগে শনিবার নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

ডিবির হারুন বলেন, তারা সুনামগঞ্জ জেলার ভুক্তভোগী সহিদুল ইসলামের মাধ্যমে ২০ জনকে তুরস্কের সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেন। প্রত্যেকে সাত লাখ টাকা করে দিতে বলেন। প্রাথমিকভাবে তিন লাখ করে নেন।

আরও পড়ুনঃ  ‘বিএনপি বিদেশনির্ভর হলে সারা বছর এসি রুমে বসে সিনেমা দেখত’

কিন্তু কাউকে পাঠাতে পারেননি। তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মেডিকেল করার কিছু দিন পর বাবা-ছেলে তাদের ২০ জনের ভুয়া জব অফার লেটার/এগ্রিমেন্ট লেটারে বিভিন্ন তারিখ দেন। পরে তুরস্কে যাওয়া বাতিল করে মালয়েশিয়া, সার্বিয়াসহ অন্যান্য দেশে পাঠাবেন বলে সহিদুলের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। এ পর্যন্ত তারা একজনকেও বিদেশে পাঠাতে পারেননি।

একাধিক এজেন্সি খুলে প্রতারণা

হারুন জানান, কামরুল এক সময়ে একটি এজেন্সিতে চাকরি করতেন। পরে সেই এজেন্সি মালিক মারা গেলে তিনি সেটির মালিক বলে পরিচয় দিতেন। সেই এজেন্সির পাশাপাশি ৪/৫টি প্রতিষ্ঠান খুলে বৈধ লাইসেন্সধারী বলে পরিচয় দিতেন তিনি।

প্রকৃতপক্ষে তার কোনো লাইসেন্স ছিল না। ভুয়া লাইসেন্স নাম্বার ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুলে বসেন। এছাড়াও তিনি বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য বিভিন্ন বাণিজ্যিক এলাকায় অফিস ভাড়া নিতেন। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি সরকারিভাবে তুরস্ক, কানাডা, মালয়েশিয়া, সার্বিয়াসহ অন্যান্য দেশে লোক পাঠানোর জন্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিতেন।

বিশ্বাস অর্জনের জন্য টাকা ও পাসপোর্ট নেওয়ার পর কিছু কিছু পাসপোর্ট তিনি বিভিন্ন বৈধ এজেন্টদের কাছে জমা দেন ভিসা করার জন্য। সেই এজেন্সি থেকে কয়েকজনের ভিসা নিয়ে দেখাতেন আর বলতেন এইতো কয়েকজনের ভিসা হয়ে গেছে। এগুলো দেখিয়েই পরে অন্যদের কাছ থেকে আরও টাকা নিতেন তিনি। টাকা নেওয়ার পর সাধারণ মানুষদের সাথে তিনি যোগাযোগ বন্ধ করে দিতেন।

এছাড়া কেউ টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্নভাবে হমকি-ধামকি দিতেন। একপর্যায়ে গোপনে তিনি তার অফিস পরিবর্তন করে ফেলতেন।

DB2

কামরুলের প্রতারক হয়ে ওঠার গল্প

কামরুল হাসানের দাবি, তিনি শরীয়তপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৮ সাল থেকে তিনি ১০ বছর মালয়েশিয়াতে কাটান। দেশে ফিরে ২০০১ সাল থেকে আল রিফাত ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি অফিসে চাকরি নেন। ২০২২ সালে মালিক মারা যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি এই প্রতিষ্ঠানে এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন।

মালিক মারা যাওয়ার পর কামরুল ওই প্রতিষ্ঠানের আরএল ও লাইসেন্স নিজের প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করে প্রতারণা শুরু করেন। এভাবে প্রতারণা করে তিনি তুরস্ক, কানাডা, সার্বিয়া, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশে লোক পাঠানোর কথা বলে এই পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

তিনি বিদেশে যেতে আগ্রহী শ্রমিকদের কাছ থেকে পাসপোর্ট নিয়ে তাদের মেডিকেল করানোর কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ হাজার করে টাকা নিতেন। ভিসা প্রসেসিংয়ের কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১/২ লাখ থেকে শুরু করে ৩০/৩৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়ার তথ্য পেয়েছে ডিবি।

তার নিজের পাসপোর্টে স্থায়ী ঠিকানা শরীয়তপুর উল্লেখ থাকলেও এনআইডিতে স্থায়ী ঠিকানা চাঁদপুর দেওয়া। তিনি গত দুই বছরের প্রতারণালব্ধ টাকা দিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় ফ্ল্যাট, বাড়ি ও জমি কিনেছেন।

সর্বশেষ - রাজনীতি