Category: সদর

  • গুলিবিদ্ধ জুলাই বীর শাহজাহানের পাশে দাঁড়ালেন মানবিক জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা

    গুলিবিদ্ধ জুলাই বীর শাহজাহানের পাশে দাঁড়ালেন মানবিক জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা

    এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ

    শাহজাহানের দুর্দশার গল্প শুনে তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিয়া।
    বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে বাম হাতে গুলিবিদ্ধ জুলাই বীর শাহজাহানের পাশে দাঁড়ালেন মানবতার ফেরিওয়ালা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। এ সময় তার জীবনের কষ্টের গল্প শুনে জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আর্থিক সহযোগিতা করেন।
    আন্দোলনের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কেয়ারের নারায়ণগঞ্জের কোঅর্ডিনেটর ছিলেন শাহজাহান। এখন তিনি বেকার। আন্দোলনে গুলিতে বাম হাত গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নতুন করে চাকরিও পাচ্ছেন না তিনি। বর্তমানে পরিবার নিয়ে শাহজাহানের জীবন চলছে অতি কষ্টে। তিনি সিদ্দিরগঞ্জের ভুইগড় এলাকায় গত প্রায় ত্রিশ বছর ধরে স্বপরিবারে বসবাস করছেন।
    জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার দেখে ঘরে বসে থাকতে পারেননি শাহজাহান। ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার অল্প কিছুক্ষণ আগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের নিচ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে আসার সময় গুলিতে আহত হন তিনি। আন্দোলনকারীরা প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বাম হাতের কবজিতে অপারেশন করে স্প্লিন্টার বের করেন চিকিৎসকগণ।
    শাহজাহানের দুই ছেলে ও এক কন্যা এখনো শিক্ষার্থী। টাকার অভাবে ছোট ছেলেকে দনিয়া সরকারি কলেজে চান্স পেয়েও ভর্তি করতে পারেননি তিনি।
    এই প্রতিবেদকের কাছে দুঃখ করে শাহজাহান বলেন, বিদেশি উন্নয়ন সংস্থা কেয়ারের নারায়ণগঞ্জ জেলার কোঅর্ডিনেটর হিসেবে খুবই ভালো চাকরি করতাম। এখন আমি বেকার। পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে রাস্তায় নেমে ভিক্ষাও করতে পারছি না। কিন্তু আমার অবস্থা এখন ভিক্ষুকের মতোই। আমি জেলা প্রশাসকের সাথে আজই প্রথম দেখা করে আমার দুর্দশার কথা জানানো মাত্রই উনি আমাকে তাৎক্ষণিকভাবে ২০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও আমার পাশে থাকার জন্য আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। ডিসি স্যার অনেক ভালো মানুষ। উনার জন্য দোয়া করি আল্লাহ উনাকে আরও বড় করুন।
    এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম বলেন, জুলাই বীর শাহজাহানদের মতো মানুষদের জন্য সরকার সাধ্যমতো সবকিছুই করবে। কারণ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কারণেই আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি এবং আমিও আজ এই অবস্থানে আসতে পেরেছি।

  • সাংবাদিক ভূইয়া কাজল নারায়ণগঞ্জ ও দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা

    সাংবাদিক ভূইয়া কাজল নারায়ণগঞ্জ ও দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা

    আলোরধারা ডেস্ক:

    সাংবাদিক ভূইয়া কাজল নারায়ণগঞ্জ ও দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান

    দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে তবুও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে , অনেক অনেক বাধা বিঘ্ন পেড়িয়ে চলে গেল ২০২৪ সাল। এই সালে অনেক ঘটনা ও সুন্দর সুন্দর মূহুর্তগুলো স্মৃতি হ’য়ে থাক। চাওয়া পাওয়ার মাঝে ও না পাওয়ার মাঝেও আমি আশা করি সবার জীবনেই পুরাতন বছরটি ভালভাবে অতিবাহিত হয়েছে । তবে আমার প্রিয় শহর ও দেশবাসীকে জানাই নতুন বছরের অনেক শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা । আগামী বছর হোক মনে রাখার মত। একটি বছর অনেক স্মৃতি অনেক মূহুর্ত আর শিক্ষা দিয়ে যায় । আর নতুন বছর নিয়ে আসে একরাশ নতুনের সম্ভাবনা । পুরাতন আর নতুনের মাঝে এই আমরা থাকি বেশ, সুখ দুঃখ সবটা নিয়ে । আমি আবারও এই সময়ে আমার নিজ শহর নারায়নগন্জ্ঞ ও পুরো দেশবাসীকে জানাই Happy new year 2025 .

  • আনন্দ উৎসবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা ৯৭ নারায়ণগঞ্জের আত্মপ্রকাশ

    আনন্দ উৎসবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা ৯৭ নারায়ণগঞ্জের আত্মপ্রকাশ

    আলোরধারা ডেস্ক:

    শিশু-কিশোরদের প্রতিভা বিকাশে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আনন্দ উৎসব করে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্কুলের এসএসসি ব্যাচ ৯৭ এর শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী প্লাটফর্ম হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মপ্রকাশ করলো আমরা ৯৭ নারায়ণগঞ্জ।

    নারায়ণগঞ্জ শহরের শেখ রাসেল নগর পার্কে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে বেলুন উড়িয়ে সেতু বন্ধনের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে আমরা ৯৭ নারায়ণগঞ্জ এর প্রতিষ্ঠাতা মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, এড. রাশেদ ভূইয়া, এমএ মান্নান ভূঁইয়া, সানোয়ার কবির নিতু ও মাসুম আহম্মেদের সমন্বয়ে গত ২৭ ডিসেম্বর আনন্দ উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসএসসি ব্যাচ ৯৭ বন্ধুদের স্ব-পরিবারে মিলনমেলা ঘটে। আনন্দ বিনোদনে ভরপুর আড্ডায় মেতে উঠে সবাই। সৃজনশীল বন্ধু আনন্দ, রিমু, নাসরিন, বাপ্পী ও মান্নান ভূঁইয়ার সাবলীল সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে থিম সং পরিবেশন করেন ইমাম হোসেন বাপ্পী ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন লিটন গাঙ্গুলি ও শহর বাউল জন সহ অন্যান্য শিল্পীরা। এদিকে চারুকলা প্রাঙ্গণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ইফতেখারুল প্রিন্স, ফারজানা মিষ্টি ও মানছুরা আক্তার লুনার তত্ত্বাবধানে বিচারক ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনসটিটিউটের অধ্যক্ষ মোঃ সামসুল আলম আজাদ, সহকারী অধ্যাপক শহীদ আহম্মেদ মিঠু ও নারায়ণগঞ্জ আদর্শ স্কুলের প্রকৌশলী আসিফুর রহমান। অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে অর্থ উপ কমিটির শাকিল, আপ্যায়ন কমিটির নুরুল হুদা মহব্বত, ফজলু, কাদের, শামীম, নিয়ম শৃঙ্খলা রক্ষায় মাহাবুব জয়, সাজসজ্জায় সবুজ সাহা এবং সামগ্রিক পর্যাবেক্ষনে ছিলেন তোফাজ্জল হোসেন, সামছুল আলম, শরিফুল সহ বিভিন্ন উপ কমিটির সদস্যরা আন্তরিক মহানুভবতায় আনন্দ উৎসব স্বার্থক ও সুন্দর করে তুলেছেন। অনুষ্ঠানে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফরিদ আহম্মেদ বাঁধন, মাজহারুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান সহ অন্যান্য গুণী বন্ধুরা শুভেচ্ছা বিনিময় করে মানবিক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসএসসি ব্যাচ ৯৭ বন্ধুরা উচ্ছ্বাসে উজ্জীবিত হয়ে একে অপরের সহযোগিতার মনোভাবে পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণ করেন এবং পরিবারের বউ বাচ্চাসহ মা-বাবাকে অনুষ্ঠান স্থলে শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে সম্মানীত করায় সকলেই আত্মহারা হয়ে যায়। ৯৭ পরিবারের সন্তানদের এসএসসি ও এইচএসসি সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা স্মারক এবং খেলোয়ারদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সেই সাথে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণ ও উপস্থিত সবার জন্য র‌্যাফেল ড্র করে বিজয়ীদের হাতে ১০টি পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে শিশু কিশোরদের কোরআন পাঠ, ছড়া, কবিতা ও গজল পরিবেশন করা হয়। আমরা ৯৭ নারায়ণগঞ্জের প্রায় ৫ শতাধিক সদস্য পরিবারের এই আয়োজনে বিকেলের নাস্তা চটপটি, চিতইপিঠা ভাপাপিঠা, কফি ও রাতে খাবার পরিবেশন করা হয়। এ সময় আনুষ্ঠানিক বিদায় বেলায় সকল বন্ধুরা এডমিন প্যানেল ও আয়োজকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পরবর্তী আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান।

     

     

  • পানকৌড়ি কিচেন এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের প্রশিক্ষণার্থীদের সার্টিফিকেট বিতরণী অনুষ্ঠিত

    পানকৌড়ি কিচেন এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের প্রশিক্ষণার্থীদের সার্টিফিকেট বিতরণী অনুষ্ঠিত

    আলোরধারা ডেস্ক:

    অত্যন্ত আনন্দ মূখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে পানকৌড়ি কিচেন এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের সার্টিফিকেট প্রায় ১০০ জন প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে প্রদান করা হয়েছে।

    শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত একটি আভিজাত রেস্টুরেন্টে এ সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।

    স্বতঃস্ফূর্তভাবে সকলে প্রশিক্ষণার্থী তাদের সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছে। অতিথি সহ আরও উপস্থিত ছিলেন- পানকৌড়ি কিচেন এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের স্বত্বাধিকারী পারভীন আক্তার পান্না, পানকৌড়ি এর এডমিন ও মডারেটর ওয়াহিদা খানম বৃষ্টি, ফারহানা সুলতানা, উম্মে সুমা মিথিলা, আইভি, কাকলি আক্তার, আয়শা আক্তার, সুমাইয়া হ্যাপি সহ আরও অনেকেই।

  • হিম হিম জলে উষ্ণতা ছড়িয়ে দিলো ব্যাচ ৯৭ না’গঞ্জ এর নৌতরী

    হিম হিম জলে উষ্ণতা ছড়িয়ে দিলো ব্যাচ ৯৭ না’গঞ্জ এর নৌতরী

    আলোরধারা ডেস্ক:

    পৌষ মাসের হিম ছড়ানো সকাল। কুয়াশায় ঢেকে আছে শীতলক্ষা নদী। নদীর তীরে বাঁধা রয়েছে নৌবিহারের অভিজাত নৌতরী সুন্দরবন-১৬। ঘাটে অপেক্ষমান নারায়ণগঞ্জ ব্যাচ ৯৭’র সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। সুবিশাল জাহাজ দেখে আগত শিশুদের আনন্দের আর সীমা নেই। কিন্তু পথে রেজিষ্ট্রেশন ও উপহার গ্রহণের বিশাল জটলা। তবুও জটলা ঠেলে ঠেলে এগিয়ে যাচ্ছে নৌবিহারে আগতরা। নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরেই ১২ শত যাত্রী নিয়ে ছাড়ল সুন্দরবন-১৬। নদীর হিম হিম জল ঠেলে ঠেলে যতোই এগিয়ে যায় ততোই জাহাজের ভেতরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। যেন শীতলক্ষার হিম জলের ভেতরে উষ্ণতা ছড়িয়ে ছড়িয়ে আগাচ্ছে নৌতরী।

    এর কিছুক্ষণ আগেই ব্যাচ ৯৭’র নারায়ণগঞ্জ কমিটির সভাপতি ডা. ফরহাদ আহমেদ জেনিথ উপদেষ্টাদের সঙ্গে নিয়ে নৌবিহার-২০২৪ এর উদ্বোধন করেছেন। গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের ১৯৯৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের সংগঠন ব্যাচ ’৯৭ নারায়ণগঞ্জ আয়োজন করে নৌবিহারের। অনুষ্ঠানের শুরুটা ছিলো এমনই ব্যতিক্রম ও উষ্ণতায় মোড়ানো। সকাল সাড়ে দশটায় সুন্দরবন-১৬ গতিতে চলতে শুরু করলো। নাস্তার পর্ব সেরে ততক্ষণে নৌবিহারে আগতরা চা-কফিতে চুমুক দিয়ে রেলিংয়ে দাঁড়িয়ে জলের সঙ্গে রোদের ও জাহাজের অদ্ভুত মিলনের দৃশ্য দেখছেন।

    জাহাজের ভেতরে ভেতরে চলতে শুরু করলো নানা আনুষ্ঠানিকতা। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্কুল থেকে আগতরা নিজেদের মধ্যে পরিচিত হতে শুরু করলো। অনেকের সঙ্গে দীর্ঘদিন পরে দেখা। নানা কুশলাদি। আবার কারও কারও সঙ্গে শুধুমাত্র ফেইসবুকে পরিচয় থাকলেও এবারই প্রথম সামনাসামনি দেখা-পরিচয়।

    কমিটির দেয়া সূচী সূত্রে জানা গেছে- নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল ঘাটে সকাল ৮টায় রিপোর্টিং, কুপন ও গিফট সংগ্রহ এবং লঞ্চে প্রবেশ ও নিজ নিজ আসন গ্রহণ। সকাল সাড়ে ৮টায় লঞ্চ ছেড়ে যাবে চাঁদপুর মোহনার উদ্দেশ্যে, ৯টায় সকালের নাস্তা পরিবেশন ও আহার, সকাল ৯:৪৬া হতে ৯:৫৫ টায় ব্যাচ ৯৭, নারায়ণগঞ্জের সকল স্কুলের মৃত বন্ধুদের জন্য দোয়া, বিজয় দিবস স্মরণে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাগত বক্তব্য, সকাল ১০টায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে অন্যন্য উপদেষ্টাগণ নৌবিহার উদ্বোধন, সকাল সোয়া দশটা হতে একক নৃত্য, সঙ্গীত, কৌতুক, অভিনয়, আবৃতি, গল্প, ছড়া পরিবেশন ও নারায়ণগঞ্জের সকল স্কুলের মনোনীত সদস্যের অনুভূতি প্রকাশ, ব্যাচ’ ৯৭, নারায়ণগঞ্জের বিগত দিনের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানের ভিডিও ডকুমেন্টেশন, বন্ধুদের স্পাউসদের জন্য বালিশ বদল ও ঝুড়িতে বল ফেলার প্রতিযোগিতা। দুপুরে জাহাজ ভীড়ে উত্তর চাঁদপুরের মোহনপুরে। সেখানে জুম্মার নামাজের বিরতি দেয়া হয়। নামাজ শেষে মধ্যাহ্ন ভোজের খাবার পরিবেশন করে ব্যাচের স্বেচ্ছাসেবকরা। দুপুরে খাবারের পরে অনুষ্ঠান আরও জমে উঠে। নারায়ণগঞ্জের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আশিক ও বাউল জন মাতিয়ে তোলে পুরো জাহাজ। তাদের গানের তালে তালে নাচতে শুরু করে সবাই। আছরের ও মাগরিবের নামাজের বিরতির পরে পুরোটা সময় জুড়ে ছিলো সঙ্গীতের উত্তাপ। এর ফাঁকে ফাঁকে চলতে থাকে ফটোসেশন। আলোকচিত্রী আল আমিন সোহাগ তার ক্যামেরায় একে একে বন্দি করতে থাকেন সবাইকে। অনুষ্ঠানের আরেকটি আকর্ষণীয় পর্ব ছিলো র‍্যাফেল ড্র, পুরস্কার বিতরণ ও আতশবাজি ফোটানো।

    সকাল থেকে পর্বে পর্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন- কাজী সাঈদ, মোয়াজ্জেম টিপু, আরেফিন সুলতানা জেমী, ফয়সাল আহমেদ দোলন ও নঈম চৌধুরী। রাতে সারাদিনের অভাবনীয় আনন্দের তরী আবারও নারায়ণগঞ্জ ভিআইপি টার্মিনালে এসে ভীড়ে। হাসিমুখে সবাই ফিরে যায় আপন নীড়ে। সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বাস ছিলো নারী ও শিশুদের মধ্যে।

    ব্যাচ ’৯৭ নারায়ণগঞ্জ কমিটিরি সভাপতি ডা. ফরহাদ আহমেদ জেনিথ জানান- অনুষ্ঠানটিকে সফল করতে সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী সজিব, সহ-সভাপতি জিতু সুমন, সায়েলা পারভীন মিলি, তাহফিম রাসেল, ফয়সাল আহমেদ দোলন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফরিন জেমী, মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ, জানে আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম কবির, যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, মাঈনুদ্দিন সোহাগ, অর্থ সম্পাদক জাকির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান সোহাগ, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক হালিম উল্লাহ টিটু, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক আহমদ আলী, কার্যকরী সদস্য মামুন ফকির, ফরহাদ উদ্দিন শাওন সহ উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্য, স্কুলগুলোর প্রতিনিধিগণ ও অংশগ্রহণকারী সকলের অবদান রয়েছে।

  • বিজয় উৎসবে সেলাই মেশিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করল মানব কল্যাণ পরিষদ

    বিজয় উৎসবে সেলাই মেশিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করল মানব কল্যাণ পরিষদ

    আলোরধারা ডেস্ক:
    আর্তমানবতার সেবায় সামাজিক উন্নয়নে এগিয়ে আসার প্রত্যয়ে সাথে থাকুন পাশে পাবেন স্লোগানে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ২৩ ডিসেম্বর সোমবার দিনব্যাপী নারায়ণগঞ্জ শহরের চৌরঙ্গি পার্কে বিজয় উৎসব করেছে স্বেচ্ছাসেবী ও মানবিক সংগঠন মানব কল্যাণ পরিষদ। অনুষ্ঠানে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে একজন বিধবা নারীকে সেলাই মেশিন ও একজন বেকারগ্রস্থ পুরুষকে আর্থিক অনুদান হিসেবে নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

    সরকারি ভাবে শ্রেষ্ঠ সংগঠকের পুরস্কারপ্রাপ্ত মানব কল্যাণ পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বিজয় উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ আ ফ ম মশিউর রহমান। সম্মানীত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ভিকারুন নেছা, জেলা তথ্য অফিসার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, ইসলামীক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ই আ ম মাসুদ মজুমদার, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর প্রজিৎ কুমার ধর ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান দেবাশীষ ভদ্র। সংগঠনের স্বাস্থ্য বিষয়ক সচিব কাজী ইমরুল কায়েসের স্বাবলীল উপস্থাপনায় মানব কল্যাণ পরিষদের মহাসচিব মোঃ নিজাম উদ্দিনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে বিজয় উৎসবে আরো উপস্থিত ছিলেন মডেল গ্রুপের মানবিক যোদ্ধা মোঃ মনির সরদার, পরিবেশ রক্ষা উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ রিফাত, প্রসিকিউটর ফৌজিয়া রহমান নিলিম, জয়িতা পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগঠক জান্নাতুল ফেরদৌসী ঝুনু, অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মাসুদ চৌধুরী, আধারে আলো প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মাস্টার মোঃ সেলিম, তরুন নারী উদ্যোক্তা ইলমা আক্তার মিতু সহ বিভিন্ন সংস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও নারী উদ্যোক্তা এবং স্বেচ্ছাসেবীগণ। আনন্দ বিনোদনে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও যাদু প্রদর্শন করেন যাদু শিল্পী কবির প্রধান। অনুষ্ঠানে বিউটিফিকেশন প্রশিক্ষণ কোর্সের সফল শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয় এবং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সকলকে শুভেচ্ছা উপহার সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার গুণী ব্যক্তিদের বিজয় উৎসবের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এছাড়াও র‌্যাফেল ড্র এর মধ্যে নরসিংদী সাকিয়া জামান, মাদারীপুরের মৌসুমী ও নারায়ণগঞ্জের সাফিনা শরীফ হিরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার গ্রহণ করেন। পরিশেষে মানবিক যোদ্ধা, সংগঠক, স্বেচ্ছাসেবী ও উদ্যোক্তারা সংগঠনের কর্মসূচীগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা চেয়ে সেবার মান বৃদ্ধি করার জন্য মানব কল্যাণ পরিষদ দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

  • নারায়ণগঞ্জ জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে তাসমিন আক্তার পিপিএম’র যোগদান

    নারায়ণগঞ্জ জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে তাসমিন আক্তার পিপিএম’র যোগদান

    আলোরধারা ডেস্ক:
    নারায়ণগঞ্জ জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হিসেবে তাসমিন আক্তার, পিপিএম যোগদান করেন। গত ১৯ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে তিনি যোগদান করেন। এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার জনাব প্রত্যুষ কুমার মজুমদার নবাগত অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাসমিন আক্তার(পিপিএম) মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি এবং ভিকারুননিসা নুন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ইন পুলিশ সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
    তিনি ৩০ তম বিসিএস এর মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন।
    এর আগে তাসমিন আক্তার, পিপিএম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং এন্টি টেররিজম ইউনিট, ঢাকায় অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত ছিলেন।
  • আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিউটিফিকেশন কোর্সের সমাপনী করলো মানব কল্যাণ পরিষদ

    আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিউটিফিকেশন কোর্সের সমাপনী করলো মানব কল্যাণ পরিষদ

    আলোরধারা ডেস্ক:

    দক্ষতা অর্জনে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ৩দিন ব্যাপী স্পেশাল বিউটিফিকেশন কোর্সের সমাপনী করলো মানব কল্যাণ পরিষদ। প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে নারায়ণগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিউটিফিকেশন কোর্সের উদ্বোধন করেন মানব কল্যাণ পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ভূঁইয়া।

    ৪ ডিসেম্বর বুধবার বিউটিফিকেশন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রিপন চন্দ্র দে। প্রশিক্ষণ ক্লাসে সাবলীল উপস্থাপনায় চমৎকার প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ক্লাস প্রশিক্ষক ছিলেন বিউটি এক্সপার্ট ফাতেমা আক্তার ইলা। এছাড়াও গত ২ ও ৩ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণ ক্লাসে প্রশিক্ষক ছিলেন মেকআপ আর্টিস্ট শারমীন আক্তার ও বিউটি এক্সপার্ট মাইহার মীম। ক্লাস মডেল হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশামনি একা, বুবলি আক্তার ও কাশফিয়া আহমেদ খুশবু। এছাড়াও প্রশিক্ষণ ক্লাসে আরো উপস্থিত ছিলেন মানব কল্যাণ পরিষদের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সচিব কবি রুনু সিদ্দিক ও জাতীয় লেখক কল্যাণ পরিষদ পাঠাগারের সভানেত্রী আয়শা আক্তার।

    আনন্দ বিনোদনে এবং উচ্ছ্বাসে ৩ দিনের প্রশিক্ষণ কোর্সে ৩ জন প্রশিক্ষক, ৩ জন ক্লাস মডেল ছাড়াও শিক্ষার্থীরা উজ্জীবিত হয়ে একজন কর্মঠ উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মানব কল্যাণ পরিষদের বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি যুব প্রশিক্ষণ নিয়মিত পরিচালনা করে যাচ্ছে সংগঠনটি। তাই সকলের অংশগ্রহণে সংগঠনটি একটি মাইলফলক দৃষ্টান্ত ইতিমধ্যে অর্জন করেছে।

  • ভারতের ভিত্তিহীন বিবৃতিতে ঘটনার ভুল উপস্থাপন হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

    ভারতের ভিত্তিহীন বিবৃতিতে ঘটনার ভুল উপস্থাপন হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

    মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের ওই বিবৃতি ভিত্তিহীন এবং সেখানে মূল বিষয়টির ভুল উপস্থাপন হয়েছে।

     

    বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয়ে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) গণমাধ্যমে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা একটি বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। অত্যন্ত হতাশা ও গভীরভাবে ব্যথিত হয়ে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখ করেছে যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করার পর থেকে কোনো কোনো মহল ভুল ধারণা দিয়েছে।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার জনগণের বিরুদ্ধে স্থূল মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধীদের দায়মুক্তির সংস্কৃতি চূড়ান্তভাবে শেষ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, একইভাবে ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সংখ্যালঘুদের সঙ্গে সমান আচরণ করে, যা এই বিবৃতিতে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষিত।

    বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করে যে, প্রত্যেক বাংলাদেশির তার ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, বজায় রাখা বা পালন করার বা বাধা ছাড়াই মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে।

    সব নাগরিকের, বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের একটি দায়িত্ব। গত মাসে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালনের মাধ্যমে এটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার আবারও বলতে চায় যে, দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। সরকার বিচার বিভাগের কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করে না। প্রশ্নাধীন বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।

     

    বাংলাদেশ সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে বলা হয়, মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশ সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যে কোনো মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ বন্দর নগরীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

    এর আগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার ও জামিন নাকচের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরই পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিবৃতি দিয়ে বিষয়টির ব্যাখ্যা করা হয়।

  • জেলা বিএনপির সভাপতির বক্তব্য প্রত্যাহারে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

    জেলা বিএনপির সভাপতির বক্তব্য প্রত্যাহারে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

    আলোরধারা ডেস্ক:

    সাংবাদিক এবং ফতুল্লা প্রেসক্লাবকে হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে ফতুল্লা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ফতুল্লার সাংবাদিক সমাজ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

    ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুর রহিম বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন ৫ আগষ্টের পর থেকে সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছেন। তিনি ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ থেকে সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি গত শনিবার ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে।  তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দ জানাচ্ছি এবং বক্তব্য প্রত্যাহারে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেট দিচ্ছি।  যদি বক্তব্য প্রত্যাহার না করেন তা হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিবো।

    ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুম বলেন, সাংবাদিকেরা কারো গোলাম না, তিনি চোখ রাঙাবেন আর সাংবাদিকেরা ভয় পেয়ে যাবেন তা কিন্ত নয়। আমরা তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

    সহ-সভাপতি সেলিম মুন্সী নলেন, ফ্যাসিস্টরা সর্বপ্রথম গণমাধ্যমের কণ্ঠ চেপে ধরে।  গিয়াসউদ্দিন যে বক্তব্য দিয়েছে তা ফ্যাসিস্টের অংশ। তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়া প্রয়োজন।

    দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক কবিরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকেরা আপনার চাকরি করে না। আপনি জাতীয় পার্টি করেছেন, আওয়ামীলীগ করেছেন। আপনি স্বৈরাচারের দোসর।