Category: অন্যান্য

  • দুই বিভাগে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

    দুই বিভাগে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

    দেশের দু’টি বিভাগে ঝড় বৃষ্টি হতে পারে৷ অন্যত্র আকাশ থাকতে পারে মেঘলা। এছাড়া তাপমাত্রাও সামান্য বাড়তে পারে।

    শুক্রবার (১৪ মার্চ) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

    আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানান, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

    মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

     

    শনিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

    এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

     

    শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হযেছে, সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

    রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হযেছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

  • ক্ষতিকর রঙে আইসক্রিম, মালিককে জরিমানা

    ক্ষতিকর রঙে আইসক্রিম, মালিককে জরিমানা

    বোয়ালখালী পৌর সদরের একটি কারখানায় নোংরা পরিবেশে ক্ষতিকর রং দিয়ে কুলপি, মালাই, চকবারসহ নানা প্রকারের আইসক্রিম তৈরি ও বিক্রি করায় জরিমানা করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে পিংকু আইসবার নামের কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা।

    তিনি জানান, পিংকু আইসবারের কারখানায় নোংরা পরিবেশে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রং দিয়ে আইসক্রিম তৈরি এবং বিক্রি করায় কারখানার মালিক উত্তম চৌধুরীকে বিএসটিআই আইন ২০১৮ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

    এ ছাড়া বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে পৌর সদরের গোমদণ্ডী ফুলতল এলাকায় অভিযান চালিয়ে সবজি ও ফলের অতিরিক্ত দাম নেওয়ায় ৯ জনকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

    জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • বন্দরে ট্যাংকারের সঙ্গে কনটেইনার জাহাজের সংঘর্ষ

    বন্দরে ট্যাংকারের সঙ্গে কনটেইনার জাহাজের সংঘর্ষ

    বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করা ট্যাংকারের সঙ্গে একটি কনটেইনার জাহাজের সংঘর্ষ হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বহির্নোঙরে ট্যাংকার ‘MT RHINE’ এর সঙ্গে কনটেইনারবাহী জাহাজ ‘YOUNG YUE -11’ এর সংঘর্ষ হয়।

    এতে ট্যাংকারটির নোঙর ক্যাবলের সঙ্গে কনটেইনারবাহী জাহাজের প্রপেলার আটকে যায় এবং কনটেইনারবাহী জাহাজের আংশিক ক্ষতি হয়।

     

    বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দ্রুততার সাথে টাগ ভেসেল কাণ্ডারী-৪ ও ১০, বিএলভি লুসাই ও পাইলট ভেসেল ঘটনাস্থলে পাঠায়।

    পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বন্দরের অভিজ্ঞ পাইলট ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল আনুমানিক বিকেল সাড়ে চারটায় সফলতার সাথে কন্টেইনারবাহী জাহাজটি মুক্ত করে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছেন।

     

    বর্তমানে বহির্নোঙরসহ চ্যানেলে চট্টগ্রাম বন্দরের সব কার্যক্রম নিরাপদে সম্পন্ন হচ্ছে।

  • নতুন দলের ‘সুপার টেন’-এ থাকছেন যারা

    নতুন দলের ‘সুপার টেন’-এ থাকছেন যারা

    রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বড় সমাবেশের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি)। এরই মধ্যে দলের শীর্ষ ১০টি পদে (সুপার টেন) নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।

    এনসিপির শীর্ষ সূত্রে জানা গেছে, দলটির আহ্বায়ক হিসেবে থাকছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ ছেড়ে আসা নাহিদ ইসলাম। সদস্য সচিব পদে থাকছেন আখতার হোসেন।

     

    এছাড়া জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব পদে ডা. তাসনিম জারা ও নাহিদা সরোয়ার নিভা, প্রধান সমন্বয়কারী পদে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম সমন্বয়ক পদে আব্দুল হান্নান মাসউদ, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) পদে হাসনাত আবদুল্লাহ ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) পদে সারজিস আলমের নাম চূড়ান্ত হয়েছে।

    অনুষ্ঠানে এই ১০ জনের পাশাপাশি কমিটি ঘোষিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শুরু হয়। তবে তার আগে দুপুর থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জড়ো হতে থাকেন নতুন দলটির নেতা-কর্মীরা।

     

    জুমার নামাজের পর আসতে থাকেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

    স্বৈরাচার শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির অগ্রভাগে থাকা একদল তরুণ-তরুণী এই দল নিয়ে আসছেন।

    সমাবেশ উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সমাবেশে আগতদের মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের তল্লাশি পার করে ভেতরে প্রবেশ করতে হচ্ছে।

  • লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার দুই

    লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার দুই

    লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল ও তার সহযোগী ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম।

    এর আগে বুধবার রাজধানী ঢাকার খিলক্ষেত নিকুঞ্জ-২ এবং ধানমন্ডি সোবাহানবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

    গ্রেপ্তার আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ।

    কামরুল হাসান পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের আঙ্গোরপোতা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য।

     

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানান, রংপুর কোতোয়ালি থানার ১২ নম্বর মামলা ও হাতীবান্ধা থানার ৩১ নম্বর মামলাসহ তিনটি ভয়ভীতি প্রদর্শনের জিডিতে অভিযুক্ত পলাতক আসামি আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল পলাতক থেকে গোপনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় সংগঠিত করতে গোপনে নেট দুনিয়ায় যোগাযোগ সচল করেছিল।

    গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার খিলক্ষেত নিকুঞ্জ-২ এলাকা থেকে শ্যামলকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

     

    অপর আসামি তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী কামরুল হাসানও হাতীবান্ধা থানার একটি মামলা ও পাটগ্রাম থানার তিনটি ভয়ভীতি প্রদর্শনের জিডি মূলে অভিযুক্ত থাকায় পলাতক ছিলেন।

    গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধানমন্ডি সোহানবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

     

    গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম।

  • রমজানে সয়াবিন তেলের ঘাটতি থাকবে না: ধর্ম উপদেষ্টা

    রমজানে সয়াবিন তেলের ঘাটতি থাকবে না: ধর্ম উপদেষ্টা

    আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে বাজারে সয়াবিন তেলের ঘাটতি থাকবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

    তিনি বলেন, আমাদের দেশে রমজান এলে ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেন।

    ভোগ্য পণ্যের দাম যাতে না বাড়ে, সেক্ষেত্রে তদারকি থাকবে এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

     

    বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

    ধর্ম উপদেষ্টা জানান, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রমজান মাস এলেই বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমে যায়। কিন্তু বাংলাদেশে সিন্ডিকেট করে বাড়ানো হয়।

    নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বাজারে জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ভূমিকা রাখছে এই সরকার।

     

    তিনি ভোগ্যপণ্যের দাম রমজান মাসে সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।

     

    বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন নবীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি মো. মুশফিকুর রহমান, মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিমসহ প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

    সেমিনারে বক্তারা হাওর এলাকার জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় করণীয় বিষয়ে ইমামদের ভূমিকা তুলে ধরেন।

  • অবৈধ সম্পদ অর্জন: বেনজীর, তার স্ত্রী-কন্যাদের নামে মামলা

    অবৈধ সম্পদ অর্জন: বেনজীর, তার স্ত্রী-কন্যাদের নামে মামলা

    এগারো কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী এবং দুই কন্যার নামে একটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ কমিশনের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

    দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বেনজীর আহমেদ ছাড়া মামলার অন্য অসামিরা হলেন—বেনজীরের স্ত্রী জীশান মীর্জা, তার দুই মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীর।

     

    মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বেনজীর আহমেদ তার অপরাধলব্ধ ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রটি বলছে ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উত্তোলনের পর কোথাও বিনিয়োগ করার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

    দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, নগদে উত্তোলিত অপরাধলব্ধ আয়ের প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করার বা স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

  • ফতুল্লা বিসিক শাসনগাওসহ নবীনগর এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠছে আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সজীব ও তার বাহিনী, আতংক # হত্যা মামলার আসামি হয়েও প্রকাশ্যে, অধরা

    ফতুল্লা বিসিক শাসনগাওসহ নবীনগর এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠছে আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সজীব ও তার বাহিনী, আতংক # হত্যা মামলার আসামি হয়েও প্রকাশ্যে, অধরা

    ছাত্র আন্দোলনে পারভেজ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ফতুল্লা থানায় দায়েরকৃত মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগ নেতা সজিব ও তার বাহিনীর অন্যতম সহযোগী মুন্না দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিলেও সম্প্রতি এলাকায় ফিরে পুরোনো আধিপত্য পুনুরুদ্ধার করতে ফের নানা অপকর্মে নেমে পড়েছে। সজিব, মোমিন ও মুন্নাসহ এই বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে এলাকায় নিয়মিত মহড়া দিচ্ছে। মাদক, ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রন, চাঁদা আদায়, জোরপূর্বক মানুষের জমি দখলসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে ফের বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে।

    এরফলে এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ আতংকে দিনাতিপাত করছে। যে কেনো মুহুর্তে বড় ধরনের নাশকতার আশংকাও করছেন স্থানীয় মহল। সেই সাথে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন প্রকাশ্যে অপরাধ কর্মকান্ড চালানোর পরও পুলিশের নিরব ভুমিকা নিয়ে।
    স্থানীয়রা জানান, নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের পুত্র আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগ নেতা সজীবের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অভিযোগের যেনো শেষ নেই। দল ক্ষমতায় থাকাবস্থায় আজমেরী ওসমানের নাম ব্যবহার করে বিসিক শাসনগাওসহ নবীনগর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল যুবলীগ নেতা সজীব ও তার বাহিনী।
    ভুক্তভোগীরা বলছেন, অনতিবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় আনা হলেই আজমেরী ওসমানের নির্দেশনায় করা সব অপকর্মের খবর বেরিয়ে আসবে।
    জানাগেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার এর পতনের পর নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে যায় ওসমান পরিবারের সকল সদস্য। এরপর থেকে আজমেরী ওসমানের অনুসারীরাও এলাকা ছাড়ে। এদিকে, আজমেরী ওসমান পালিয়ে যাওয়া মুখ খুলতে শুরু করেছে ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষজন। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দল ক্ষমতায় থাকা সময় আজমেরী ওসমানের নামে পুরো এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক, ঝুট সন্ত্রাস ও ভুমি দখলসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বেড়াতো সজীব, মোমিন, মুন্না ও তার বাহিনী। অনেক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন উপায়ে নিয়মিত চাঁদা নিতো সজিব। যারা এখন ক্ষোভে ফুসছে।
    কিছুদিন আগেও চর বক্তাবলীতে দেওয়ান স্টীল মিল দখলের চেষ্টা চালিয়েছে মুন্নাসহ অন্যান্যরা। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অবিযোগ দায়ের করেন ওই কারখানার স্বত্তাধিকারী ইমরান।
    এলাকাবাবাসীর দাবি সজীব, মুন্নাসহ এ বাহীনির সকলের কাছে অস্ত্র রয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সকল অস্ত্র উদ্ধার করা হউক। নচেৎ এলাকা ফের অশান্ত হয়ে উঠবে।

  • দ্য সাউন্ড অন: বিশ্বব্যাপী মিউজিক ও মিডিয়া ডিস্ট্রিবিউশনের নতুন সম্ভাবনা

    দ্য সাউন্ড অন: বিশ্বব্যাপী মিউজিক ও মিডিয়া ডিস্ট্রিবিউশনের নতুন সম্ভাবনা

    সংগীত ও গণমাধ্যম শিল্পের বিকাশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, আন্তর্জাতিক মানের ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যাটফর্ম TheSoundOn (দ্য সাউন্ড অন) আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ও প্রতিষ্ঠাতা রুমেল আহমেদের নেতৃত্বে এটি শিল্পী ও সংশ্লিষ্টদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ সমাধান নিয়ে এসেছে, যেখানে মিউজিক, অডিও, ভিডিও, ফিল্ম, কমেডি, ওয়েব সিরিজসহ নানা ধরনের কনটেন্টের ডিস্ট্রিবিউশন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

    শিল্পী ও সংশ্লিষ্টদের জন্য দ্য সাউন্ড অনের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা:

    সর্বোচ্চ সংখ্যক প্ল্যাটফর্মে ডিস্ট্রিবিউশন : স্পটিফাই, অ্যাপল মিউজিক, অ্যামাজন মিউজিক, ডিজার, টাইডাল, বুমপ্লেসহ আরো অনেক জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে অডিও ডিস্ট্রিবিউশন সুবিধা।

    ভিডিও ও ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউশন : ইউটিউব, ভেভো, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং অন্যান্য ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ভিডিও কনটেন্ট পৌঁছে দেওয়ার সুবিধা।

     

    ইউটিউব সিএমএস এবং কনটেন্ট আইডি সার্ভিস : ‘দ্য সাউন্ড অন’ শিল্পীদের কনটেন্ট রাইটস সুরক্ষার জন্য ইউটিউব সিএমএস এবং কনটেন্ট আইডি ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বত্ব সংরক্ষণ নিশ্চিত করবে।

    আর্টিস্ট রাইটস প্রোটেকশন ও কপিরাইট ম্যানেজমেন্ট : শিল্পীদের কপিরাইট সংরক্ষণ, পাইরেসি প্রতিরোধ ও স্বত্ব সংক্রান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা।

    মনিটাইজেশন ও রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট : গান, ভিডিও এবং অন্যান্য কনটেন্ট থেকে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়ে সহায়তা।

    প্রোমো ও মার্কেটিং সাপোর্ট : মিউজিক এবং কনটেন্টের প্রচার ও মার্কেটিংয়ের জন্য বিশেষ ক্যাম্পেইন ও বিজ্ঞাপনী সহায়তা।

     

    নন প্রোমোশনাল আর্টিস্ট/লেবেল সুবিধা : কোনো অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই শিল্পী ও সংশ্লিষ্টরা সহজেই তাদের কনটেন্ট যথাযথ স্থানে পৌঁছে দিতে পারবেন।

    ‘দ্য সাউন্ড অন’ ইতিমধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, সার্বিয়া, বসনিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের শিল্পী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। ‘ইওর সাউন্ড, আওয়ার স্টেজ’ এই স্লোগানকে ধারণ করে, প্রতিষ্ঠানটি চায় প্রতিটি প্রতিভাবান শিল্পী তার সৃষ্টিশীলতা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে পারুক।

    রুমেল আহমেদ বলেন, ‘দ্য সাউন্ড অন’ শুধু একটি ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি শিল্পীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ সমাধান; যেখানে তারা তাদের কনটেন্টের সর্বোচ্চ মূল্য পাবেন এবং স্বত্ব সংরক্ষিত থাকবে।

  • সংস্কার ইস্যুতে ইউনূস সরকারের ‘ব্রিলিয়ান্ট স্ট্র্যাটেজি’

    সংস্কার ইস্যুতে ইউনূস সরকারের ‘ব্রিলিয়ান্ট স্ট্র্যাটেজি’

    সংস্কার ইস্যুতে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের একটি সিদ্ধান্ত বিভিন্ন মহলে দারুণভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান ও মতামত জনগণের সামনে প্রকাশ করার এই সিদ্ধান্তকে ‘ব্রিলিয়ান্ট স্ট্র্যাটেজি’ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

     

    অন্তর্বর্তী সরকারের এই কৌশল কোনো রাজনৈতিক দল যদি সংস্কার বিমুখ থাকে তাদের ওপর একটা চাপ সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি সরকারের উদ্যোগ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান আরও স্বচ্ছ করবে।

    এক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক দল বা কোনো পক্ষের ভেতরে যদি দ্বিমুখিতা থাকে বা রাজনৈতিক অসততা থাকে, সেটিও জনগণ মূল্যায়ন করার সুযোগ পাবে বলে মনে করেন অনেকে। একজন বিশ্লেষক সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সংস্কার ইস্যুতে ড. ইউনূস সরকারের ‘ব্রিলিয়ান্ট স্ট্র্যাটেজি’ এবং ‘চিকন বুদ্ধি’ বলেও মন্তব্য করেন।

     

    অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে তো কথা হচ্ছে বহুকাল থেকে। এই কথাটা ওনারা (সংস্কার কমিশন) কাগজে লিখে দিয়েছেন। যাতে সুন্দরভাবে এগোতে পারি।

    রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান ও মতামত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো এক সঙ্গে অথবা আলাদাভাবে বলবে তারা এটাতে একমত, এটাতে একমত নই, এটাতে সংশোধন দিলাম,  ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা যেটা করবো এখানে বসে, আপনারা কোন দল কোনটাতে ইয়েস বলেছেন, আমরা রাজি, কোন দল নো বলেছেন, আমরা রাজি না। কোন দল বলছে আমরা সংশোধন দিলাম, আমরা সবই ওয়েবসাইটে দিয়ে দেবো। যেকোনো মানুষ দেখতে পাবে, কোন বিষয়ের প্রতি তার সম্মতি আছে, কোন বিষয়ের প্রতি সম্মতি নাই।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা, সংস্কার প্রস্তাব এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান ও মতামত যত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যাবে সংস্কার উদ্যোগ তত বেশি সফল হবে। এক্ষেত্রে তারা সংস্কার প্রস্তাব ও রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান শুধু ওয়েবসাইটে প্রকাশে সীমাবদ্ধ না রেখে সংবাদপত্র, অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করা, এমনকি লিফলেটের মাধ্যমেও জনসাধারণের সামনে তুলে ধরার পরামর্শ দেন।

     

    সাম্প্রতিক সময়ে সংস্কার ও নির্বাচন ইস্যুতে বিবাদে জড়িয়েছে ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক শক্তিগুলো। আগে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার শেষ করে নির্বাচন নাকি কিছু সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন এ নিয়ে তাদের বিরোধ এখন প্রকাশ্যে। একে-অপরকে উদ্দেশ্য করে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যও দিচ্ছেন অনেক নেতা।

    এদিকে সংস্কার বাস্তবায়ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দল এবং গণঅভ্যুত্থানের পক্ষ শক্তির গুলোকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। সংস্কারের পক্ষে ঐক্যমত সৃষ্টির জন্য গঠন করা হয় জাতীয় ঐক্যমত কমিশন। এ কমিশনের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই।

    গত শনিবার (ফেব্রুয়ারি ১৫) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যমত কমিশনের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা জানান, এই সরকারের সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর যে অবস্থান, তারা যে মতামত দেবে তা তালিকা আকারে সর্বসাধারণের সামনে প্রকাশ করা হবে।

    সংস্কার ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের এ সিদ্ধান্ত বিভিন্ন মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অধ্যাপক ইউনূসের সেই বক্তব্য শেয়ার করে প্রশংসা করছেন।

    হোসাইন তারেক নামে একজন অধ্যাপক ইউনূসের সেই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, এক ছক্কায় গ্যালারি পার। এবার লও ঠ্যালা। কারা জনগণের রাজনীতি করে আর কারা পকেটের (রাজনীতি) করে জাতির সামনে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

    রাসেল ফিরোজ নামে আরেকজন ফেসবুকে লিখেছেন, লও ঠ্যালা। জনগণ সব জেনে গেল এবার, কারা সংস্কার চায়, কারা চায় না।

    সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ইমাম হাসান নামে একজন শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সত্যিকারের ভালো সংস্কার চাই। একই সঙ্গে আমরা দেখতে চাই কারা সংস্কার চায়, আর কারা সংস্কার চায় না। রাজনৈতিক দলগুলোর চরিত্র মূল্যায়ন করতে চাই।

    সংস্কার ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের এই স্ট্র্যাটেজি কতটা ব্রিলিয়ান্ট হয়েছে তার মূল্যায়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, কৌশলগতভাবে এটা ঠিকই আছে, সঠিক উদ্যোগ বলে আমি মনে করি। এর চেয়ে বেস্ট (সবচেয়ে ভালো) কোনো কৌশল আমার মাথায় নেই। এটাই সর্বোচ্চ আমার কাছে মনে হয়েছে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির এই শিক্ষক বলেন, অতিত একটা অভিজ্ঞতা, আগে সংস্কারের যত চেষ্টা নেওয়া হয়েছিল সেগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করেনি। আমার মনে হয় সেটাকে মনে রেখে উনি (অধ্যাপক ইউনূস) এটা করেছেন।

    রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বচ্ছতার সঙ্গে সংস্কারমুখী হতে অন্তর্বর্তী সরকারের এ উদ্যোগ ভূমিকা রাখবেও বলেও মনে করেন সাব্বির আহমেদ।

    তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো চরিত্র বিশ্লেষণের জন্য এটা খুব দরকার। রাজনৈতিক দলগুলোকে জবাবদিহি করার জন্য, তারা কী কথা দিয়েছিল, কী কথা রাখছে, এই মূল্যায়নটা জনগণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে যতবেশি সংখ্যক মানুষের কাছে (সংস্কার প্রস্তাব এবং রাজনৈতিক দলগুলো অবস্থান) পৌঁছানো যাবে, সংস্কার উদ্যোগ তত বেশি কার্যকর হবে।

    সংস্কার প্রস্তাব ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান ও মতামত মানুষের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে সাব্বির আহমেদ বলেন, আমি মনে করি এটা শুধু ওয়েবসাইটে কেন, ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের কত শতাংশ লোক দেখবে, এটা আরও একটু বিস্তৃত করা দরকার। সংবাদপত্রে দেওয়া দরকার, এতে এটি আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছাবে। শুধু তাই নয়, আমি মনে করি এটাকে সরকার যদি লিফলেট আকারেও সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়, এটাও করা উচিত।

    কী বলেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা

    গত শনিবার (ফেব্রুয়ারি ১৫) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংস্কার থেকে সরে যাওয়ার কোনো উপায় আমাদের নেই, জাতি হিসেবে। যদি বলি যে সংস্কারের প্রয়োজন নেই, লোকে হাসবে। এতদিন কী বললেন তাহলে। বললেন যে এগুলো, এটা ভুল, এটা ভুল। এখন বলে যে সংস্কারের কাজ নেই। সেটা আমরা কেউ বলছি না, সংস্কার দরকার নেই এবং খুব গভীরভাবে দরকার, হালকাভাবে নয়।

    তিনি বলেন, অনাচারের সীমা নাই, এটা আমরা সবাই স্বীকার করছি। কোনো প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো চলছে না। কোনো আইন ঠিকমতো চলছে না। সংস্কার তো এটা নিয়েই কথা …কাজেই সংস্কার থেকে আমাদের কোনো বাঁচোয়া নেই এবং সেটা গভীরভাবে হতে হবে। এটা করতে হবে, এটা থেকে আমাদের মুক্তি নেই। দেশকে বাঁচাতে হলে এটা আমাদের করতে হবে।

    অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এটা কোন গোপন জিনিস না। এটা হলো রাজনৈতিক দলের একটা বক্তব্য। আপনি বলেন, আপনি কোনটাতে সম্মতি নাই, লিখে দেন আমরা ওয়েবসাইটে দিয়ে দেব। যে এই দল বলেছে তারা কোনটার প্রতি রাজি না। অথবা আমরা সব কয়টিতে একমত। আমরা একমত হতে পারি, সংশোধন সাপেক্ষে একমত হতে পারি অথবা এটাতে আমরা রাজি না। এটা আমরা ধরতে চাই না। হতে পারে। আমাদের দায়িত্ব হলো আপনাদের ইচ্ছেটার প্রতিফলন করা। জাতির সামনে আপনাদের ইচ্ছেটা তুলে ধরা।

    তিনি বলেন, ধরুন ১০০ প্রস্তাব আছে নির্বাচন প্রণালী নিয়ে, কোনো একটা দল বলল আমরা ৯৮টাতে রাজি, এই দুইটাতে রাজি না। সুন্দর কথা হয়ে গেল। কথার কথা বলছি, আরেকটা দল আমরা দুইটাতে রাজি বাকিগুলোতে রাজি না। বলে কি, নির্বাচনে সংস্কার হবে, ১০০ প্রস্তাব আছে, মাত্র ২টাতে। এইটায় কেন ওনারা রাজি হলেন না। এটা কেন ওনারা রাজি হলেন না। মানুষ যাতে এটা বোঝে, দেখতে পায়। আমরা রেসপন্সিবল হই। যে আমাদের কাছে পরিষ্কার। এই তালিকাটা তৈরি করা।

    প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, আপনি লিস্ট নিয়ে দলের সবাইকে নিয়ে বসবেন, যে এটাতে আমরা একমত, এটা একমত নই, এটা সংশোধন লাগবে, এটাতে মোটেও একমত নই। এই তালিকাটা আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিলেই হবে। আমরা যথারীতি এটা ওয়েবসাইটে দিয়ে দিবো। আপনার সই করা জিনিস আছে ওখানে। আলটিমেট লক্ষ্য হলো একটা চার্টার তৈরি করা। আমরা আপনাদের বলবো, এটা আপনাদেরই মতামত, মেহেরবানি করে সই করে দেন। এটা আমরা জাদুঘরে সংরক্ষণ করবো। যাতে মানুষ জানতে পারে আমরা কি করছি, না করছি।