আলোরধারা ডেস্ক :
ইভটিজিং করাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দুই কাউন্সিলরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ উভয় গ্রুপের ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে ।
জানা যায়, ইভটিজিং করাকে কেন্দ্র করে নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির সহযোগী পানি আক্তার গ্রুপের সদস্যরা হামলা করে একই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের সমর্থক আব্দুল হান্নান ও বাক্কু গ্রুপের ওপর। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের লোকজন দেশী অস্ত্র চাপাতি, রামদা, রড ও লাঠিসোটা ব্যবহার করে। সংঘর্ষের সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
খবর পয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মীর শাহীন শাহ পারভেজের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সিদ্ধিরগঞ্জের সুমিলপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ও রাত সাড়ে ৯টায় ২ দফায় সংঘটিত সংঘর্ষে হৃদয়, ইব্রাহীম, রবিউল, রাসেল আহমেদ, জসিম, ইসমাইল, ইউসুফ, রাকিব, সাইদুল, শুভ ও আরিফসহ ১৫ জন আহত হয়।
পুলিশ এ ঘটনায় বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি গ্রুপের আক্তার হোসেন (২৯), মিজান (২৭), রবিন (২০), বিল্লাল হোসেন (২০), নুর হোসেন (২১) ও শামীম (২৯) এবং সাবেক কাউন্সিলর সিরাজ মণ্ডলের সহযোগী স্বপন (৪০), ফিরোজ আহমেদ (৩৩), শাহাদাত হোসেন শাকিল (৩১), আব্দুল হান্নান (৩৫), মিজানুর রহমান (২৬) কে গ্রেফতার করে। বিকেলে তাঁদের চালান করে নারায়ণগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
এদিকে, বুধবার বিকালে বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির সহযোগী শাহ আলম বাদী হয়ে সাবেক কাউন্সিলর সিরাজ মণ্ডল গ্রুপের ১৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। অপরদিকে সাবেক কাউন্সিলর সিরাজ মণ্ডলের সহযোগী জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, জানা গেছে, নাসিক ৬নং ওয়ার্ড সুমিলপাড়া রেল লাইন চৌরাস্তা এলাকায় গার্মেন্টস মেয়েদের প্রতিদিন উক্তক্ত্য করে আসছিলো মতির গ্রুপের অস্ত্রধারী ক্যাডার একাধিক মামলার আসামী পানি আক্তার গ্রুপের সহযোগী শামীম।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে মেয়েদের উত্তক্ত্য করে শামীম। এতে বাধা দেয় ছোট মিজান ও তার লোক জন। এ খবর পেয়ে পানি আক্তার ও তার ৫০-৬০ জন সহযোগীরা চাপাটি, রামদা, রড, লাটিসোটা নিয়ে মিজান ও হান্নান গ্রুপের উপর হামলা চালায়।
এদিকে এলাকাবাসী জানিয়েছে, মারামারি করেছে পানি আক্তার ও ছোট মিজান গ্রুপের তার সহযোগীরা। এ মামলায় এখন আওয়ামীলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়েছে। যারা ঘটনার সাথে জড়িত না তারাও আসামী হয়েছে। এতে করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ভাবমূর্তি এলাকাবাসীর কাছে ক্ষুন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, পানি আকতার চলতি বছরেরর ৩ জানুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের অফিসে অগ্নিসংযোগ করেছে।
সে সময় জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ,নারায়ণঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানের ছবি ও পুরো অফিস আগুনে পুড়ে যায়। তাছাড়া মতির আরেক সহযোগী সেলিম মজুমদারের অত্যাচারেও এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। সে মতির ক্ষমতা বলে স্থানীয় ব্যবসায়ী মানিক সরকারকে কুপিয়ে জখম করে। যার মামলা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এখনো চলমান । এরুপভাবে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতির ক্যাডার বাহিনীরা।
তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, ইভটিজিং, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসায়সহ সকল অন্যায় ও অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা এসপি’র কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।
Leave a Reply