২৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ব্যাংক হিসাবে ৪৩ কোটি টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়।
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২৫ কোটি ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জন করে নিজ ভোগদখলে রেখে অপরাধমূলক অসদাচরণ এবং ৬৫টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ৪৩ কোটি ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৭৫ টাকা লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ে সম্পৃক্ত অপরাধ ‘ঘুষ ও দুর্নীতি’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে রূপান্তর বা স্থানান্তর বা হস্তান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীত প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় সাধন চন্দ্র মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যানুসারে, ১/১১ এর পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলে ২০০৮ সালে পোরশা, সাপাহার ও নিয়ামতপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাধন চন্দ্র মজুমদার। কিন্তু এর আগে এই আসন থেকে আরও দুইবার নির্বাচন করলেও বিএনপির প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি।
মূলত ১/১১ এর পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনই তার জীবনে আশীর্বাদ হয়ে আসে। নওগাঁ-১ আসন থেকে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য হন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন সাধন চন্দ্র মজুমদার।
২০১৮ সালে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য হওয়ার পর তিনি খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
তার নির্বাচনী এলাকায় মানুষের মুখে মুখে অঢেল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আসতে থাকে। অভিযোগ রয়েছে, বেসরকারি নিয়োগ বাণিজ্য, স্কুলে নিয়োগ বাণিজ্য, সরকারি প্রতিষ্ঠানে ঠিকাদারি, খাসজমি দখল, খাসপুকুর দখল. নিয়োগ বাণিজ্য, জায়গাজমির কেনাবেচা, সরকারি কাজের ঠিকাদারি কমিশন বাণিজ্য তাকে এমন সম্পদ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। নামে-বেনামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পদও গড়েছেন।