সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র হত্যা মামলার একাধিক আসামী প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়ালেও খুজেঁ পাচ্ছে না পুলিশ। এসব আওয়ামী দোসর হত্যা মামলার আসামী হয়েও প্রকাশ্যে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগের কর্মসুচি পালন করার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ভাবে অংশ নিচ্ছে সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে এলাকায় থেকে লোকজন নিয়ে ঢাকায় আওয়ামীলীগের মিছিলে অংশগ্রহন করার একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেলেও স্থানীয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা না নেয়ায় জনমনে সৃষ্টি হয়েছে আতংক।
জানাযায়, সিদ্ধিরগঞ্জ নাসিক ৫নং ওয়ার্ডের আওয়ামী দোসর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি তেল চোর নজরুল ইসলাম ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের হয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের উপর হামলা ও গুলিবর্ষন করে আন্দোলন ধমাতে কাজ করেছে। হত্যা গত ৫ আগস্ট হাসিনার সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর কিছুদিন এলাকা ছাড়া থাকলেও বর্তমানে তিনি একাধিক হত্যা মামলার আসামী হয়েও প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে এবং এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। নজরুল বর্তমানে এলাকায় প্রকাশ্যে অবস্থান করলেও থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা না নেয়ায় সাধারন মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
অন্যদিকে, নাসিক ৩নং ওয়ার্ডের নুর হোসেনের ভাতিজা সাতখুন মামলার ফাসির আসামী সাবেক কাউন্সিলর বাদলের সহযোগী আবু সাঈদ সাদেক গত ৫ আগস্টের পর থেকেই এলাকায় প্রকাশ্যে থেকে বাদলের ব্যাবসা বাণিজ্য ও আন্ডার ওয়ার্ল্ড পরিচালনা করছে বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবু সাঈদ আওয়ামী দোসর হয়েও নিজের পরিচয় গোপন রেখে আগস্টের পরে বিএনপি’র কিছু অঙ্গ সংগঠনের সাথে যুক্ত হলেও তার পরিচয় প্রকাশ হওয়ার পর ঐসব সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়। এরপর কিছুদিন পুর্বে আওয়ামী দোসর ও ছাত্র আন্দোলনে হামলার চালিয়ে ছাত্র হত্যার অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও বর্তমানে প্রকাশ্যে বাদলের ব্যাবসা বানিজ্য নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে ।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র একাধিক নেতা বলেন, কিছু আওয়ামী দোসর তাদের পরিচয় গোপন করে আমাদের দলে প্রবেশ করেছিলো আমরা জানতে পেরে সাথে সাথে তাদের বহিস্কার করে দিয়েছে। তারা সবাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার আসামী আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে আহবান জানাই তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য।