সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ৮নং ওর্য়াডে যেখানে সেখানে সিটি কর্পোরেশন ময়লার ভাগার, এবং
জালকুড়িতে ময়লা ডাম্পিং থাকা সত্তেও সেখানে ময়লা না ফেলে ঠিকাদারের খোয়াল খুশি মত যেখানে সেখানে ময়লা আর্বজনা ফেলে আসছেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন দেখেও না দেখার ভান ।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) এর ৮নং ওয়ার্ডের বাসাবাড়ি, হাসপাতাল ক্লিনিক ও কল-কারখানার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জের ধনকুন্ডা মেইন রোড সংলগ্ন আবুল মেম্বারের গ্যারেজ এর পাশে, ধনকুন্ডা ক্যানেল পাড়া, বৌ-বাজার, লাকী বাজার, 2 নম্বর মেইন রাস্তা ও চৌধুরীবাড়ী পাশে। এতে সড়কের পাশে সৃষ্টি হচ্ছে ময়লার ভাগাড়। এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিশেষ করে মহাসড়কে প্রতিনিয়ত চলাচলকারী ও আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা রয়েছেন অধিক ঝুঁকিতে। এছাড়াও ফুটপাত দখল, আবর্জনা ভর্তি ভ্যানগাড়ি থাকায় পথচারীদের হাঁটতে হয় ঝুঁকি নিয়ে সড়কের মূল অংশে নেমে।
এদিকে নাসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অনিয়মে ক্ষোভে ফুঁসে উঠছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে নাসিক মেয়র বরাবর জানালেও এর কেনো প্রতিকার পাচ্ছে না তারা। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতি বাসা থেকে মাসিক ১০০ টাকা করে আদায় করছেন বর্জ্য নিষ্কাশনের কাজে নিয়োজিত লোকজন। এরপরও তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকতে হচ্ছে। নিয়মিত সিটি করপোরেশনের ট্যাক্স পরিশোধের পরও বর্জ্য নিষ্কাশনের নামে ঐ ৮নং ওয়ার্ড থেকে গড়ে ৮ হাজার পরিবার থেকে অতিরিক্ত ৮ লাখ টাকার বেশি আদায় হলেও এর কোনা সুফল পাচ্ছে না ওয়ার্ডবাসীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ধনকুন্ডা মেইন রোড আবুল মেম্বারের গ্যারেজ এর পাশে, ধনকুন্ডা ক্যানেল পাড়া, বৌ-বাজার, লাকী বাজার, 2 নম্বর মেইন রাস্তা চৌধুরীবাড়ী পর্যন্ত এলাকার কয়েকটি স্থানেই তৈরি হয়েছে বর্জ্যের ভাগাড়। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা, হাসপাতাল ও বাসাবাড়ির বর্জ্য ফেলা হচ্ছে সড়কের পাশে। ধনকুন্ডা মেইন রোড ও আবুল মেম্বাররে বাড়ির বাড়ি পাশে এলাকায় সৃষ্টি হচ্ছে বিশাল ময়লার ভাগাড়। অনেকস্থানে ময়লা ফেলে পানি নিষ্কাশনের খালও ভরাট করা হয়েছে। এতে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতারও সৃষ্টি হচ্ছে ডিএনডি অধ্যুষিত এলাকায়। সড়কের পাশে নিয়মিত বর্জ্য ফেলার কারণে আশপাশের এলাকার বাতাস দূষিত হচ্ছে। বর্জ্যের উত্কট গন্ধে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ নাকে কাপড় চেপে হাটতে দেখা যায়।
স্থাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব বর্জ্যে অনেক ‘ডাস্ট পার্টিকল’ রয়েছে, যা বাতাসে উড়ে। আমরা আবার তা শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করি। ফলে আমাদের ফুসফুস আক্রান্ত হচ্ছে, নানা ধরনের রোগবালাই বাড়ছে। আমাদের ফুসফুস একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত ‘ডাস্ট পার্টিকল’ গ্রহণ করতে পারে। এর চেয়ে বেশি হলেই আমরা রোগে আক্রান্ত হই, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি রয়েছে ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস ও ফুসফুস ক্যানসারের। কাজেই এভাবে উন্মুক্ত স্থানে ময়লা-আবর্জনা বা বর্জ্য ফেলে রাখা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নাসিক ৮নং ওয়ার্ডের এলাকাবাসী বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে বর্জ্য সংগ্রাহকরা বর্জ্য ফেলে রাখা হয়। এসব বর্জ্যের কারণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। ময়লা নিয়ে অরাজকতা বা কারসাজি তো রয়েছেই। প্রতি পরিবার থেকে ১০০ টাকা করে আদায় ও সড়কের পাশে বর্জ্য দিনের পর দিন রাখার বিষয়ে নাসিক ৮নং ওয়ার্ডে বর্জ্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিক ঠিকাদার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।