অস্কারজয়ী অভিনেত্রী শার্লিজ থেরন। সম্প্রতি ‘কল হার ড্যাডি’ নামক একটি পডকাস্টে অংশ নিয়ে তার অভিনয়জীবনের শুরুর দিকের একটি ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি বলেন, এক পরিচালক একবার তাকে শনিবার রাতে অডিশনের কথা বলে নিজের বাসায় ডেকেছিলেন। সেখানে অভিনেত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করেন তিনি।
থমকে যাওয়া সেই মুহূর্তের কথা স্মরণ করে শার্লিজ থেরন বলেন, ‘আমি জানতাম না অডিশনের প্রক্রিয়া কেমন হয়। আমার এজেন্সি বলেছিল একটা ছবির কাস্টিং চলছে এবং আমাকে শনিবার রাতে যেতে হবে। জায়গাটা ছিল ওই পরিচালকের বাসা। ভেতরে ঢুকে দেখি, তিনি পাজামা পরে আছেন। এরপর তিনি আমার হাঁটুর ওপর হাত রাখেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে উঠে চলে যাই।’
এই ঘটনা প্রথম তিনি ২০১৯ সালে ‘দ্য হাওয়ার্ড স্টার্ন শো’-তে প্রকাশ করেছিলেন। তবে এখন তিনি আরও খোলামেলা বলেন, ‘আমার ভেতরের ছোট্ট একটা কণ্ঠ বলছিল, ‘এটা ঠিক হচ্ছে না।’ আবার আরেকটা কণ্ঠ বলছিল, ‘হয়তো এটাই স্বাভাবিক। আমি দ্বিধায় ছিলাম, কারণ আমি তখন কিছুই জানতাম না।’
তবে থেরন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি কখনোই সেই পরিচালকের নাম প্রকাশ করবেন না। কারণ তিনি চান না গল্পটা সেই লোকটিকে কেন্দ্র করে হোক। তিনি বলেন, ‘আমি তাকে রক্ষা করতে চাই না কিন্তু আমি চাই না সে হোক কেন্দ্রবিন্দু।’
শার্লিজ আরও জানান, যখন তিনি এই ঘটনার কথা প্রথমবার বলেছিলেন, তখন ওই পরিচালক বুঝে যান যে এটা তার বিরুদ্ধেই বলা। ‘সে ভয় পেয়ে গিয়েছিল। পরে সে আমাকে একটা ‘ভান করা’ চিঠি লেখে, সেখানে বোঝাতে চেষ্টা করে যে আমি ব্যাপারটা ভুল বুঝেছি। এটা খুবই চেনা কৌশল, তাই না? এমনটা তো প্রায়ই হয়’, বলেন থেরন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তোমার নাম পর্যন্ত বলব না কারণ তুমিই জানো তুমি সেই জঘন্য ব্যক্তি। যদি কেউ আমাকে তোমার বিষয়ে জিজ্ঞেস করে, আমি একদম খোলাখুলি বলব। তুমি জানো সেটা। আমি এটা উপভোগ করি যে তোমাকে দুশ্চিন্তার গরম চেয়ারে বসে থাকতে হয়। কারণ তুমি জানো না কখন তোমার নামটা উঠে আসবে। এটা আমার ভালোই লাগে। এটা তোমার জন্য শাস্তি।’
আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে শার্লিজ থেরনের সংক্ষিপ্ত বার্তা, ‘আমি কাউকে কোনো দিন আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে দেব না। তবে যখন কেউ তোমাকে এমনভাবে ধরা দেয় তখন সেটা ভীষণ অপ্রত্যাশিত হয়। সেদিন আমি জানতাম আমি কোনো চরিত্র পেতে যাচ্ছি না। আমি তখনই বুঝেছিলাম, আমাকে ডাকা হয়েছিল কারণ আমি কোনো শিল্পমূল্য বহন করছিলাম না। বরং আমাকে ভোগের বস্তু ভাবা হয়েছিল। সেটা ছিল ভয়ংকর অবমাননাকর।’