বিদেশগামী বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতার অন্যতম প্রধান কারণ জাল সনদপত্র ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দেওয়ার মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।
বুধবার (২ জুলাই) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাপানের শ্রমবাজার: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বিশেষ দূত বলেন, আমাদের কর্মীরা ভাবে যে- জাল সনদ ও অদক্ষতা নিয়ে কোনোভাবেই বিদেশে যেতে পারলেই হলো। ফলে অনেকগুলো দেশে একই সঙ্গে ভিসা জটিলতা হচ্ছে। জাপানের ভিসা আবেদনের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যাচ্ছে না, এটার একটা কারণ ভুয়া সার্টিফিকেট, ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। এজন্য এখন শাস্তির ব্যবস্থা জরুরি। আমাদের স্ট্যান্ডার্ড কমিটি আছে, আমরা নিয়মিত এই বিষয় নিয়ে বসছি।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের নীতিগত উপদেষ্টা জিয়া হাসান বলেন, আগে জাপান দূতাবাস সরাসরি বাংলাদেশি আবেদনকারীদের ভিসা দিতো। কিন্তু জাল কাগজপত্র দাখিলের একটি ঘটনা ধরা পড়ার পর সেই প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, এখন জাপানের ভিসা ভিএফএসের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়, তবে দূতাবাসের তুলনায় এটা খুব ধীরগতির।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশগামী পর্যটক ও অভিবাসনপ্রত্যাশী কর্মীরা এখন জনপ্রিয় গন্তব্যগুলোতে ভিসা পেতে নানা ধরনের সমস্যার মুখে পড়ছেন। এতে শুধু চিকিৎসা, ব্যবসা ও বিনোদন ভ্রমণকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না, একই সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও ওমানের মতো দেশে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের সুযোগও কমে গেছে।