দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় কিছু নামধারী বিএনপির নেতাকে ম্যানেজ করে আবারও প্রকাশ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমানের বহু অপকর্মের সঙ্গী আওয়ামী দোসর ভূমিদস্যু মফিজ হোসেন মজু। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামী সরকারের পতনের পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান মফিজ হোসেন মজু। দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় কিছু নামধারী বিএনপির নেতাকে ম্যানেজ করে আবারও প্রকাশ্যে দেখা মিলছে মজুকে। সে গত কয়েকদিন যাবত সিদ্ধিরগঞ্জপুল কবরস্থান মসজিদ কমপ্লেক্স এর তার ব্যাক্তিগত অফিসে বসে আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমানসহ নেতাকর্মীদের সাথে নানা ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন বলে বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন। ৫ আগষ্টের পূর্বে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের প্রতিটি কর্মসূচীতে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহন করতেন আওয়ামী দোসর ভূমিদস্যু মফিজ হোসেন মজু।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অস্ত্রসহ সাবেক এমপি শামীম ওসমানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা যখন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জনতার উপর গুলি চালিয়েছিল তখন ঐ সন্ত্রাসীদের বহরে আওয়ামীলীগের সক্রিয় কর্মী ভূমিদস্যু মফিজ হোসেন মজুও অংশ নিয়ে ছিলো বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা।
সক্রিয় আওয়ামী দোসর ভূমিদস্যু মফিজ হোসেন মজুকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন বিএনপির ত্যাগী নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আওয়ামী সরকারের আমলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমানের প্রকাশ্যে মদদে এলাকায় দাবরিয়ে বেড়ানো আওয়ামী দোসর ভূমিদস্যু মফিজ হোসেন মজু গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্য নেতাকর্মীদের সাথে পালিয়ে যান। কিন্তু এরা দীর্ঘপর কিভাবে এলাকায় ফিরে প্রকাশ্যে তার ব্যাক্তিগত অফিসে বসে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে নানা ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে ষড়যন্ত্র করে চলেছেন?।
এলাকাবাসী জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমানের শেল্টারে ভূমিদস্যু মফিজ হোসেন মজু সিদ্ধিরগঞ্জপুল কবরস্থানের পেছনে মোঃ কামাল হোসেন নামে নিরিহ এক ব্যাক্তির কোটি টাকার মূল্যের ৩ কাঠা জমি দখল করে নিয়েছেন। তৎকালিন সময়ে নিরিহ মোঃ কামাল হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমানের নিকট অভিযোগ করে কোন বিচার পাননি। পরে তিনি বিচার না পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ কামাল হোসেনকে সহযোগিতা করতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমানের কারণে পারেন নি বলে জানান নিরিহ কামাল হোসেন।
এলাকাবাসী আরো জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জপুল কবরস্থানের পেছনে আশেপাশে এলাকায় জমি ক্রয় বিক্রয় করতে চাইলে মজুর অনুমতি ছাড়া ক্রয় বিক্রয় করতে দেওয়া হতো না। ভূমিদস্যু মফিজ হোসেন মজুর নেতৃত্বে জমি ক্রয় বিক্রয়ের সিন্ডিকেট গড়ে স্বৈরাচার স্টাইলে চাঁদাবাজির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। সেই টাকার একটি ভাগ চলে পেতেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান। আওয়ামী দোসর মফিজ হোসেন মজুকে দ্রুত আইননের আওতায় আনতে পুলিশ প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।
#####
