কোরবানির ঈদে প্রিয়জনদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে নারায়ণগঞ্জ ছাড়ছেন নগরবাসী। দিনাজপুর, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, সিলেট, গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন জেলার দিকে ছুটছেন যাত্রীরা।
১৩ জুন অফিস শেষেই অনেকে নাড়ির টানে নারায়ণগঞ্জ ছাড়তে শুরু করেন। কেউবা সড়কপথে, কেউ নৌপথে বিভিন্ন যানে করে বাড়ি ফিরছেন।
ডলফিন, শ্যামলী, এনা, মিথুনসহ বিভিন্ন দূর পাল্লার বাসের কাউন্টারে যোগাযোগ করে জানা যায়, ১৩ জুন থেকেই সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা; দুপুর ৩টা এবং সন্ধ্যা ৭, রাত ৮টা ও ৯টার দিকে বাসের শিডিউলে করে যাত্রীরা বাড়ি ফিরছেন।
এছাড়াও কোরবানির ঈদেও বিআরটিসির পক্ষ থেকে বাস প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআরটিসি নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপোর প্রধান, ডিজিএম (পিএনএস) মো. মনিরুজ্জামান বাবু।
তিনি বেটার নারায়ণগঞ্জকে বলেন, ঈদুল আযহা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিভিন্ন জেলায় বাস ছাড়া হয়েছে। শিডিউল মেইন্টেইন করে বাসগুলো যাত্রীদের গন্তব্যে পৌছে দিবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীদের ঘরে ফিরতে যাত্রা সহজ করতে মাঠ পর্যায়ে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক (অফিসার ইনচার্জ) রেজাউল হক।
তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের বেশ চাপ রয়েছে। আমরা যানজট নিয়ন্ত্রনের জন্য বিভিন্ন পয়েন্ট পুলিশ মোতায়েন করেছি। স্বস্তিতে যাতে যাত্রীরা ঘরের দিকে যেতে পারেন সে লক্ষে আমরা কাজ করছি।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল ঘাট থেকে ৫টি রুটে যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। টার্মিনাল থেকে চাঁদপুর, রামচন্দ্রপুর, মুন্সিগঞ্জ, সুরেশ্বর রুটে ভ্রমণ করছেন যাত্রীরা।