আলোরধারা ডেস্ক:
অভিযোগের যেনো অন্ত নেই। ক্ষমতা খাটিয়ে একের পর এক কাজ করে যাচ্ছেন বিআইডব্লিউটিএ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নারায়ণগঞ্জ শাখার সহ- সভাপতি জাহাঙ্গীর। তাতে সরকার কিংবা সাধারণ মানুষের কী ক্ষতি হলো তা দেখার জো নেই। এ যেনো নিজে বাঁচলে বাপের নাম কান্ড। নারায়ণগঞ্জের বি আই ডব্লিউ টি’র সরকারি কাজ করাতে এক প্রকার জিম্মি থাকতে হয় তার কাছে। নিজের চাহিদা মোতাবেক টাকা না পেলে টেন্ডার বাতিল করে দেন এই সিবিএ নেতা। তার চাহিদা মোতাবেক টাকা দিতে না পেরে অনেককেই টেন্ডার হারাতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগি।
তাছাড়া সূত্র জানায়, শীতলক্ষ্যা নদীর দু’পাশে বি আই ডব্লিউ টি’র যত অবৈধ স্থাপনা আছে সব জায়গা থেকেই মাশোয়ারা পান তিনি। এছাড়াও টেন্ডার থেকে এককালীন টাকা সহ ওই কাজের মেয়াদ কালের প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট পরিমানে টাকা দিতে হয় তাকে ।
প্রসঙ্গত অভিযোগ রয়েছে তিনি একজন শ্রমিক নেতা হলেও তার হাতে রয়েছে অনেক ক্ষমতা। জেলার নদী বন্দরের যেকোনো টেন্ডার তাকে ম্যানেজ করলেই পাওয়া যায়। এছাড়াও বিআইডব্লিউটিএ’র আওতাভুক্ত জায়গায় দোকান বসাতে চাইলে তাকে বিভিন্ন অংকের চাঁদা দিতে হয়। আর এসব চাঁদার টাকায় সিবিএ নেতা জাহাঙ্গীর এখন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখায় নদী বন্দরে কাজ করছেন এই জাহাঙ্গীর। প্রথমে একজন সাধারন নেতা ছিলেন। সময়ের সাথে সাথে এখন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নারায়ণগঞ্জ শাখার সহ-সভাপতি তিনি। আর উচ্চ পদ পাওয়ার পর থেকেই একের পর এক অভিযোগ উঠছে এই সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে। টেন্ডারবাজদের শেল্টার, নদী খননের নামে মাটি বিক্রি, বিআইডব্লিউটিএ’র আওতাভুক্ত এলাকার বিভিন্ন স্থাপনায় চাঁদাবাজি, এছাড়াও রয়েছে নিজের নামে টেন্ডার কিনে তা লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে একজন সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ থাকার পরেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বিভাগীয় কর্মকর্তা থেকে শুরু করে জেলার কর্মকর্তাদের কেউই। উল্টো তারা দেখেও না দেখার ভান করছে বলেও একটি সূত্র থেকে জানা যায়। আর এতে হতবাক সচেতন মহল। তাদের প্রশ্ন আর কতো অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে সরকারি আওতাভুক্ত সিবিএ এই নেতার বিরুদ্ধে।
এই শ্রমিক নেতার এতো অভিযোগের পরেও কেনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি জানতে মুঠোফোন করা করা হয় বিআইডাব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ জেলা বন্দরের যুগ্ম্ন-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল এর কাছে। তিনি বলেন জাহাঙ্গীর আমাদের একজন স্টাফ। তার বিরুদ্ধে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। যদি কোনো অভিযোগ পাই তাহলে যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গোপন সূত্রে জানা যায়, নদী এলাকার যেকোনো সংস্কার ও সব রকম উন্নয়নের কাজের টেন্ডার তার
Leave a Reply