আলোরধারা ডেস্ক :
নাম জাহাঙ্গীর আলম। পরিচয় বিআইডব্লিউটিএ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নারায়ণগঞ্জ শাখার সহ- সভাপতি। এক কথায় সরকারি আওতাভুক্ত একজন সিবিএ নেতা। তবে অভিযোগ রয়েছে তিনি একজন শ্রমিক নেতা হলেও তার হাতে রয়েছে অনেক ক্ষমতা। জেলার নদী বন্দরের যেকোনো টেন্ডার তাকে ম্যানেজ করলেই পাওয়া যায়। এছাড়াও বিআইডব্লিউটিএ’র আওতাভুক্ত জায়গায় দোকান বসাতে চাইলে তাকে বিভিন্ন অংকের চাঁদা দিতে হয়। আর এসব চাঁদার টাকায় সিবিএ নেতা জাহাঙ্গীর এখন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখায় নদী বন্দরে কাজ করছেন এই জাহাঙ্গীর। প্রথমে একজন সাধারন নেতা ছিলেন। সময়ের সাথে সাথে এখন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নারায়ণগঞ্জ শাখার সহ-সভাপতি তিনি। আর উচ্চ পদ পাওয়ার পর থেকেই একের পর এক অভিযোগ উঠছে এই সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে। টেন্ডারবাজদের শেল্টার, নদী খননের নামে মাটি বিক্রি, বিআইডব্লিউটিএ’র আওতাভুক্ত এলাকার বিভিন্ন স্থাপনায় চাঁদাবাজি, এছাড়াও রয়েছে নিজের নামে টেন্ডার কিনে তা লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে একজন সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ থাকার পরেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বিভাগীয় কর্মকর্তা থেকে শুরু করে জেলার কর্মকর্তাদের কেউই। উল্টো তারা দেখেও না দেখার ভান করছে বলেও একটি সূত্র থেকে জানা যায়। আর এতে হতবাক সচেতন মহল। তাদের প্রশ্ন আর কতো অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে সরকারি আওতাভুক্ত সিবিএ এই নেতার বিরুদ্ধে।
এই শ্রমিক নেতার এতো অভিযোগের পরেও কেনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি জানতে মুঠোফোন করা করা হয় বিআইডাব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ জেলা বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল এর কাছে। তিনি বলেন জাহাঙ্গীর আমাদের একজন স্টাফ। তার বিরুদ্ধে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। যদি কোনো অভিযোগ পাই তাহলে যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গোপন সূত্রে জানা যায়, নদী এলাকার যেকোনো সংস্কার ও সব রকম উন্নয়নের কাজের টেন্ডার তার হাত দিয়েই দেয়া হয়। তবে এসব টেন্ডার যেসব ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয় তাদের সাথে কাজ শেষে লাভের ভাগ-বাটোয়ারার চুক্তি আগেই সম্পূর্ন করে নেয় জাহাঙ্গীর। এছাড়াও বিভিন্ন সময় নিজের নামে টেন্ডার ক্রয় করেন তিনি। আর এসব টেন্ডার সরকারি মূল্যের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি করেন তিনি।
এছাড়াও বিআইডাব্লিউটিএ’র বিনামূল্যের টেন্ডার গুলোও তিনি নিজের নামে করে তার নিজস্ব ব্যক্তিদের কাছে দিয়ে দেয়। আর কাজ শেষে মোটা অংকের ভাগ নেন তিনি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীরের এতো ক্ষমতার পিছনে রয়েছে ক্ষমতাশীল দলের স্থানীয় কিছু নেতার প্রভাব। তারা তাকে টেন্ডার বাগিয়ে নিতে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করে থাকেন। আর এর বিনিময় এসব নেতারা খুব সহজেই টেন্ডারের সকল দায়িত্ব পেয়ে যায়।
জানা যায়, টেন্ডার আর চাঁদাবাজি করে এই সিবিএ নেতা এখন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক। এছাড়াও জানা যায় এসব অপর্কম করে এই সিবিএ নেতা এখন অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছে।
এসব বিষয় দৈনিক আমার সবুজ পৃথিবী ও আলোরধারা টোয়েন্টিফোর পত্রিকার অপরাধ প্রতিবেদকরা অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।
Leave a Reply