নিজস্ব প্রতিনিধি:
শামীম ওসমান নাসিক মেয়র আইভীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু’র নাম বেঁচে আর শেখ হাসিনার ছবি বেঁচে ক্ষমতা ইনজয় করবেন, নৌকা মার্কা নিয়ে নেতাগিরি করবেন, জনপ্রতিনিধি হবেন। আর, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য আঘাত করবে, আপনারা মাঠে নামবেন না। অন্যদের সাথে বসে চা খাবেন, এটা তো হতে পারে না? আমরা চাই আপনারা মাঠে নামেন, নেমে অবস্থানটা পরিস্কার করেন। তাই আপনাকে দাওয়াত দিয়েছি। এখন আসলে আসবেন, না আসলে না আসবেন। আপনার ইচ্ছা।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে এক কর্মী সভায় কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ কে এম শামীম ওসমান। মহানগর আওয়ামী লীগ’র ১১ থেকে ১৮নং ওর্য়াডের নেতাকর্মীদের নিয়ে ওই সভাটি নগরীর রাইফেল ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ’র সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোঃ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগ’র সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, মহানগর আওয়ামী লীগ’র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর আওয়ামী লীগ’র আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট এস এম ওয়াজেদ আলী খোকন, শহর যুব লীগ’র সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ নাজমুল আলম সজল, ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল প্রমূখ।
শামীম ওসমান বক্তব্যে আরও বলেন, ‘বার এ্যাকাডেমীতে পারভেজ ভাইয়ের মিটিংয়ের মধ্য দিয়ে ছাত্র লীগ’র রাজনীতিতে কাগজে কলমে ঢুকে ছিলাম। এই যে শুরু হলো, ভাবছিলাম সবকিছু ঠিক-ঠাক হয়ে গেছে, আর কেউ থাবা দিতে পারবে না। ভেবেছিলাম আগামী ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজনীতি ছেড়ে দিবো। কিন্তু এখন দেখি, সাপ-শকুনরা এখন আমার নেত্রীকে ছোঁবল দিতে চায়।
শামীম ওসমান বলেন, বাংলাদেশ রাজনীতিতে এথন বিশাল সংকটে আছে। কারো না কারো তো আওয়াজ তুলতে হবে, তাই আমিই তুলছি। দেখবেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে আমি আওয়াজ তোলার পরে, সকলেই আওয়াজ তোলা শুরু করবে। এখন বিদেশের মাটিতে বসে ‘আমাদের গর্ব, আমাদের অহঙ্কার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী’র বিরুদ্ধে কথা বলছে প্রতিনিয়ত। ‘পুলিশ বাহিনী’ নিয়ে কথা বলছে, ‘বিজিবি’র বিরুদ্ধে কথা বলছে। অর্থাৎ, রাষ্ট্রের কাঠামোটাকে আঘাত করছে। এখন বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য হাই টাইম।
সাংসদ শামীম ওসমান পরিশেষে বলেন, যেদিন কথা বলা শুরু করলাম, সেদিন থেকে বিদেশ বসে আমার বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু হলো। আমাকে সরকার নাকি স্পেশাল ৬ জন নিরাপত্তা রক্ষী দিয়েছে। এরপর বললো, আমি নাকি ৬ হাজার লোক ভারত থেকে এনে পাসপোর্ট দিয়েছি ট্রেনিং দেওয়ার জন্য। আপনাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমাকে ভারত থেকে লোক আনতে হবে না, আমার মা-বোনরা যদি খন্তি-বটি নিয়ে পথে নামে, তাহলেই তো পাড় পাবেন না। আমরা তো রিজার্ভ।
Leave a Reply