Friday , 17 January 2025 | [bangla_date]
  1. অন্যান্য
  2. আড়াইহাজার
  3. ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল
  4. খেলা
  5. চাদাবাজী
  6. চাষারা
  7. ধর্ম
  8. নারায়ণগঞ্জ
  9. ফতুল্লা
  10. বন্দর
  11. বাংলাদেশ
  12. বিনোদন
  13. বিশ্ব
  14. ব্রাহ্মণবাড়ীয়া
  15. মাল্টিমিডিয়া

দুই মাস বন্ধ থাকবে পঞ্চগড়ের সব চা কারখানা

প্রতিবেদক
AlorDhara24
January 17, 2025 11:31 am

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের চা বাগানগুলোয় সুষ্ঠুভাবে প্রুনিং (ছাঁটাই) কার্যক্রম পরিচালনার জন্য টানা দুই মাস চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময়টিতে চা পাতা উত্তোলন হবে না।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয় পঞ্চগড়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ খান বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে প্রুনিং বা ছাঁটাই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এতে আগামী দুই মাস পরিচর্যার মাধ্যমে চায়ের গুণগত মান নিশ্চিত হবে।

 

২০০০ সালে পঞ্চগড়ে সমতল ভূমিতে চা চাষ শুরু হয়।

এরপর পর্যায়ক্রমে ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারীতে ১০ হাজার একর জমিতে চা উৎপাদন শুরু হয়। গত বছর প্রচণ্ড খরতাপ ও বাগান মালিকদের চা পাতার ন্যায্য মূল্য না দেওয়াসহ বিভিন্ন কারণে চলতি মৌসুমে গত বারের চেয়ে ৩৪ লাখ কেজি চা কম উৎপাদন হয়েছে।

অপরদিকে ১ হাজার একর জমির চা বাগানে নষ্ট করেছেন বাগান মালিকরা। নতুন মৌসুমে সব সংকট নিরসনসহ চাষিদের উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে চা বোর্ড ও জেলা প্রশাসন।

 

পঞ্চগড় জেলায় চা পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা রয়েছে ২৯টি, ঠাকুরগাঁওয়ে রয়েছে ১টি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড়ের চা শিল্পকে আরও গতিশীল করার জন্য ‘টি সফট মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন’ অ্যাপ তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে কৃষক থেকে শুরু করে চায়ের নিলামের পরিসংখ্যান সফটওয়ারের মাধ্যমে করা হয়। এই সফটওয়ারে ১৪ দিনের একটি হিসেবে পঞ্চগড় থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫৩ হাজার ৬০৪ দশমিক ৭৬ কেজি চা নিলামের জন্য অকশন সেন্টারে পাঠানো হয় বলে জানা গেছে। যার প্রতিদিনের গড় মূল্য ৮৫ লাখ ৭৬ হাজার ৭৬১ টাকা ৯০ পয়সা। যেখানে রাষ্ট্রের গড় প্রতিদিন রাজস্ব আয় হয় ১৩ লাখ ৭২ হাজার ২৮১ দশমিক ৮৯ টাকা।

চা চাষিদের অসন্তুষ্টি ও চাষ কমে আসার কারণ হিসেবে দেখা গেছে ফ্যাক্টরির কম্পিটিশন না থাকা। খারাপ কোয়ালিটি এবং চোরাই পথে চা বিক্রির কারণে চাষিরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চাষিরা বলছেন তারা ভালোমানের চা দেয়ার পরেও ফ্যাক্টরি তা ঠিকমতো নিচ্ছে না।

বাগান মালিক ও শ্রমিকরা বলছেন, বিগত বছরগুলোতে আমরা ফ্যাক্টরির নানা চক্রান্তের শিকার হয়েছি। বর্তমানে কিছুটা সমস্যা কেটেছে। এখন নতুনভাবে চা বাগানগুলো নিয়ে স্বপ্ন দেখছি। যেহেতু দেশে সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, আমরা সরকারের কাছে আশা করি, নতুন মৌসুমে যাতে আমাদের পাতার ন্যায্য মূল্যসহ মূল্যবৃদ্ধি করা হয়। এজন্য আমরা ভালোমানের পাতা সংগ্রহে কাজ শুরু করেছি।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয় পঞ্চগড়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ খান বাংলানিউজকে বলেন, গত মৌসুমে জেলায় ১ কোটি ৭৯ লাখ কেজি চা উৎপাদন হলেও চলতি মৌসুমে তা কমেছে। কম হওয়ার কারণ হিসেবে আমরা তিনটি কারণ (চাষিদের ন্যায্য মূল্য না দেওয়া, খরতাপ ও চোরাই পথে চা বিক্রি) পেয়েছে। অপরদিকে পঞ্চগড়ের চায়ের মান কীভাবে আরো ভালো করা যায় সে লক্ষে সব সমস্যা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। এদিকে মৌসুম শেষ হওয়ায় ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ২ মাস প্রুনিং চলবে। এতে করে নতুন মৌসুমে সুন্দর গুণগত মানের চা পাতা পাওয়া যাবে।

সর্বশেষ - বাংলাদেশ

আপনার জন্য নির্বাচিত

‘আইপিএল বাদ দিয়ে পিএসএল দেখবেন দর্শকরা’

যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার টোল আদায়

রূপগঞ্জে মাদ্রাসার জমি রক্ষার দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত অবসরপ্রাপ্ত সেনারা

মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী নিহত, স্বামী আহত

তারেক রহমান আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, জনগণের দুঃখ-দুর্দশা জানতে হবে, জনগণের কাছে যেতে হবে–গিয়াসউদ্দিন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র হত্যা মামলার আসামি হয়েও মেঘনা ডিপো এলাকায় সালাউদ্দিন মাহাজনের অবাধ বিচরণ প্রশাসন নীরব—ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা

কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আবারও শাহবাগ ব্লকেডের ঘোষণা

কঠিন বিপদে মৃত্যু না চেয়ে যে দোয়া পড়বেন

শহীদ ওসমান হাদীর ত্যাগই আমাদের প্রেরণা: রূপগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির দোয়া মাহফিল !