আলোরধারা ডেস্ক :
মা-বাবা, ভাই-বোন নিয়ে ছয় সদস্যের একটি সুখী পরিবার। পরিবারে ছিল না কোনো কিছুর অভাব, পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে দায়িত্বটা ছিল অনেক। এক কথাায় তাদের সম্পূর্ন পরিবারটি চলতো বড় ছেলের আয়ের উপর নির্ভর করে। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সিমুলপাড়া এলাকার শফিকুলের কথা সবার জানা। এ রকম একটি সুখী ও সচ্ছল পরিবারের হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের মত একটি কালো রাত সব সপ্ন আশা ভেঙ্গে দিয়েছে। র্যাবের গুলিতে প্রাণ দিতে হয়েছে পরিবারের ভবিষ্যৎ ও স্বপ্ন শফিকুলকে তার নিজের প্রাণ উৎসর্গ করতে হয়েছে শুধু মাত্র সিদ্ধিরগঞ্জের যুবলীগ নেতা সন্ত্রাসী মতিউর রহমান মতির জন্য। শফিকুলকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে যায় তার ভরসায় চলা পুরো পরিবারটি। ছেলেহারা মায়ের চোখের জল শুকিয়ে গেছে, নিস্তব্ধ বাবা, এক নিমিষে সম্পূর্ন পরিবারটি ধ্বংস।
কিন্তু শফিকুল যার জন্য উৎসর্গ করলো তার প্রাণ, সেই মতির শফিকুলের জন্য বিন্দুমাত্র নেই কোনো টান। কৃতজ্ঞতাবোধ হীন মতির স্মরণে থাকেনা শফিকুল এর মৃত্যুর দিনটাও। মৃত্যুদিনে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে সামান্য স্মরণ করার মত সময় টুকুও নেই মতির অথচ এই শফিকুল নিজের প্রাণ না দিলে প্রাণ দিতে হতো মতির।
মতির এই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সম্পর্কে এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে শীতলক্ষ্যা নদীতে বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ, মেঘনা আর পদ্মা তেলের ডিপো নিয়ন্ত্রণ, আদমজী ইপিজেড নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে পুরো এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করছেন মতি। তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় রয়েছে ২০ থেকে টিরও বেশি মামলা। যার মধ্যে কিছু মামলা থেকে খারিজ পেয়েছে এবং কিছু মামলা চলমান। বিভিন্ন সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করতে গড়ে তুলেছেন ২০ থেকে ২৫ জনের কিশোর গ্যাং যার প্রধান পানি আক্তার। তারাই মতির নির্দেশ পালন করে থাকে। মতির ভয়ে ভুক্তভোগীরা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চায় না। একইভাবে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে আইলপাড়া, মেঘনা ডিপো, আদমজী ইপিজেডের পেছনে সাদুরঘাট বালুমহালসহ বেশিরভাগ বালুমহাল মতি ও তার ক্যাডারদের নিয়ন্ত্রণে। মতি তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে একাই আধিপত্য বিস্তার করছেন পুরো সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা জুড়ে।
Leave a Reply