জেলা প্রতিনিধিঃ
বাগে জান্নাত জামে মসজিদ এলাকায় অবৈধ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নাসিক কর্মী জসিম, সুপারভাইজার সম্রাট ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে অটোচালকদের ক্ষোভ।
বাগে জান্নাত জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অটো ও লাইসেন্সবিহীন মিশুক চালকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
নামপ্রকাশে অনিশ্চুক স্থানীয় ভুক্তভোগী কয়েকজন চালকদের দাবি, নাসিকের পরিচয় ব্যবহার করে জসিম নামে এক ব্যক্তি এবং তার সহযোগীরা নিয়মিতভাবে জোরপূর্বক টাকা আদায় করে আসছে।

ভুক্তভোগী এক অটোচালক জানান, অভিযোগ জানাতে তিনি টানা দুই দিন নগর ভবনে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত যানযট নিরসন সুপারভাইজার সম্রাট ইসলাম অভিযোগ গ্রহণ তো করেননি, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে সাক্ষাৎ এড়িয়ে গেছেন। তিনি নিজ কক্ষে অবস্থান করলেও ভুক্তভোগীকে বারবার অপেক্ষায় রাখা হয় এবং পুরো দিন শেষে কোনো সাক্ষাৎ না করেই চলে যেতে বাধ্য করা হয়।
অভিযোগকারী আরও জানান, বারবার ফোন করেও সুপারভাইজার সম্রাটের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। এতে করে অভিযোগ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং প্রশাসনিক উদাসীনতার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয় অটোচালকদের দাবি, নাসিক কর্মী পরিচিত জসিম অতীতেও একই ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। লাইসেন্সবিহীন মিশুক এবং সাধারণ অটোচালকদের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে অর্থ আদায়ের একাধিক অভিযোগ পূর্বেও ওঠে। অভিযোগ রয়েছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তি তাকে আড়াল করে আসছে।
ভুক্তভোগী চালকদের ভাষ্যমতে প্রতিদিনই আমাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়। না দিলে রাস্তায় নামতে দেওয়া হয় না। এখন অভিযোগ দিতে গেলেও কেউ শুনছে না। আমরা বিচার চাই।

সাধারণ চালক সমাজ এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও আতঙ্কিত। তাদের দাবি ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক শাস্তি, এবং অটোচালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।
ছাড়া, বিভিন্ন সূত্রে আরও জানা গেছে, সুপারভাইজার সম্রাটসহ তার টিমের বেশ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধেও বেআইনি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নিয়মিতভাবে পাওয়া যাচ্ছে, যা পুরো ব্যবস্থাপনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।



















