রাজধানীর পল্লবীতে যুবদল নেতা ও পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মঙ্গলবার দুপুরে নিহত কিবরিয়ার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে তাঁর বাড়িতে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও ঢাকা–১৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আমিনুল হক। সঙ্গে ছিলেন উত্তর বিএনপির আরও কয়েকজন নেতা।

সমবেদনা জানাতে গিয়ে আমিনুল হক বলেন, কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড যে নির্মমতা ও বিশৃঙ্খলার পরিচায়ক, তা দেশের সাধারণ মানুষের মনে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তিনি দোষীদের দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। তাঁর মতে, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড শুধু একটি পরিবারকে নয়, পুরো সমাজকেই মর্মাহত করে। এই ঘটনার পর ইতোমধ্যে এক জনকে গ্রেপ্তারের যে খবর পাওয়া গেছে, তা স্বস্তিদায়ক হলেও বাকি জড়িতদের দ্রুত আইনের মুখোমুখি করা জরুরি। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তদন্ত আরও অগ্রসর হবে এবং অপরাধীরা ধরা পড়বে।
বিএনপি নেতারা মনে করেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বহু নেতাকর্মী গুম ও হত্যার শিকার হয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ গড়ে উঠতে শুরু করলেও কিছু স্বার্থান্বেষী মহল আবারও অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে তৎপর। কিবরিয়ার এ হত্যাকাণ্ড সেই ধরনের নৈরাজ্যেরই অংশ বলে দলের নেতারা মন্তব্য করেন। তাদের মতে, সহিংসতার মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করার অপচেষ্টা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর সেকশন–১২ এলাকায় দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে গুলি করে গোলাম কিবরিয়াকে হত্যা করে। হামলাকারীরা পালানোর সময় রিকশাচালক দ্রুত রিকশা না চালানোয় তাকেও গুলি করে। ধারাবাহিক এই সহিংসতায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিবরিয়ার পরিবার, স্থানীয় বাসিন্দা এবং রাজনৈতিক সহকর্মীরা ঘটনার দ্রুত নিষ্পত্তি ও বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। সবাই আশা করছেন, দ্রুত তদন্ত শেষ করে অপরাধীদের আইনের মুখোমুখি করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন বেদনার ঘটনা আর কোনো পরিবারকে না স্পর্শ করে।
বিশেষ প্রতিনিধিঃফরিদুল ইসলাম নয়ন



















