নড়াইলে একটি হত্যা মামলায় ভাবি ও দেবরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অন্য আরেকজনকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুজনসহ মোট তিনজনকে জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে: ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা। সাত বছর সশ্রম দণ্ডপ্রাপ্ত একজনকে: ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে নড়াইলের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এই দণ্ডাদেশ দেন। নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এস এম আব্দুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ভাবি আশা বেগম ও দেবর আরাফাত শেখ পলাতক রয়েছেন। তবে সাত বছর সশ্রম দণ্ডপ্রাপ্ত রোমান ভুঁইয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত শাবানা খাতুনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পরকীয়া প্রেমিক যুগল আশা বেগম ও আরাফাত শেখ ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর নড়াইল সদর উপজেলার নাকসী গ্রামের মৃত তোকাম ফকিরের ছেলে মাসুম ফকিরকে হত্যা করে। এরপর তারা মৃতদেহ গুম করার জন্য নদীতে ফেলে দেয়।
হত্যার কারণ: ট্রাকচালক মাসুম ফকির আশাকে বিভিন্ন সময়ে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পরকীয়া প্রেমিক যুগল আশা ও আরাফাত কৌশলে মাসুমকে রাতে নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
এ ঘটনায় মাসুমের ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আশা ও আরাফাত সিআইডির হাতে ধরা পড়েন এবং আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। পরে তদন্ত শেষে সিআইডি সদর উপজেলার নাকসী খলিশাখালী গ্রামের তৌহিদ শেখের স্ত্রী আশা বেগম, দেবর ওসমান শেখের ছেলে আরাফাত শেখ, বুড়িখালী গ্রামের এনায়েত ভুঁইয়ার ছেলে রোমান ভুঁইয়া এবং আশার আত্মীয় বিলডুমরতলা গ্রামের ইজমুল মোল্যার স্ত্রী শাবানা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
পরে মামলা চলাকালীন এক পর্যায়ে আশা ও আরাফাত আদালত থেকে জামিন নিয়ে পালিয়ে যান। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ২২ জনের সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে রায়ের ধার্য দিনে বিচারক ভাবি আশা, দেবর আরাফাত ও রোমানকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী সাজার আদেশ দেন।
এ ঘটনায় মাসুমের ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আশা ও আরাফাত সিআইডির হাতে ধরা পড়েন এবং আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। পরে তদন্ত শেষে সিআইডি সদর উপজেলার নাকসী খলিশাখালী গ্রামের তৌহিদ শেখের স্ত্রী আশা বেগম, দেবর ওসমান শেখের ছেলে আরাফাত শেখ, বুড়িখালী গ্রামের এনায়েত ভুঁইয়ার ছেলে রোমান ভুঁইয়া এবং আশার আত্মীয় বিলডুমরতলা গ্রামের ইজমুল মোল্যার স্ত্রী শাবানা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
পরে মামলা চলাকালীন এক পর্যায়ে আশা ও আরাফাত আদালত থেকে জামিন নিয়ে পালিয়ে যান। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ২২ জনের সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে রায়ের ধার্য দিনে বিচারক ভাবি আশা, দেবর আরাফাত ও রোমানকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী সাজার আদেশ দেন।



















