কুড়িগ্রামে বিশেষ অভিযান চালাতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা ও আটক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাঠি ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে শনিবার (২৫ অক্টোবর) এ তথ্যটি জানাজানি হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ‘জুলাই সনদ বাতিল’ সংক্রান্ত পোস্টার টানানো এবং সরকার উৎখাতের উদ্দেশ্যে চর সাজাই মন্ডলপাড়া গ্রামে গোপন বৈঠক চলছে— এমন খবর পায় পুলিশ। পরে সেখানে অভিযান চালাতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন করির ছক্কুর নেতৃত্বে কিছু নেতাকর্মী পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশ হুমায়ুন করির ছক্কুকে আটক করলেও পরে মব সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ কর্মীরা পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে ছুক্কুকে ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় এসআই গোলাম মোস্তফা, এএসআই আহসান হাবিব, এএসআই জয়ন্ত, কনেস্টেবল ইয়াছিনসহ পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০০–৪০০ জনকে আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর উত্তর চর সাজাই মন্ডলপাড়া এলাকার রহিম আহম্মেদ (২৫) ও ইয়াকুব আলিকে (২৫) গ্রেফতার করে পুলিশ।
রাজিবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, সরকার উৎখাতের পরিকল্পনায় গোপন মিটিংয়ের খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে। এক পর্যায়ে আমরা হুমায়ুন করিরকে আটক করি। পরে তারা মব সৃষ্টি করে আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে এবং আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলা হওয়ার পর থেকে এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়েছে।



















