পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় যুবকের বাড়ির সামনে গিয়ে ডাকাত বলে চিৎকার করে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পূর্ব বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার পর একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের বান্ধাঘাটা এলাকার হাওলাদার বাড়িতে আলী হোসেন (৩৮) নামের ওই যুবককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে তিনি মারা যান।
আলী হোসেন শিয়ালকাঠী এলাকার হাকিম হাওলাদারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তৃতীয় আলী হোসেন। গ্রামের বাড়িতে তিনি এবং তার স্ত্রী থাকতেন। অন্য ভাইয়েরা ঢাকায় থাকেন, এবং মা-বাবা অন্যান্য ভাই ও বোনের সঙ্গে থাকেন।
নিহতের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার জানান, আলী হোসেন এবং তিনি অধিকাংশ সময় বাড়িতে থাকতেন না। রোববার সকালে তার স্বামী ও ভাই সোলায়মানসহ তারা তিনজন বাড়িতে যান। রাতেই তাদের ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় আবুল বাশার ফরিদের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন লোক তাদের বাড়ির সামনে এসে ‘ডাকাত’ বলে চিৎকার শুরু করে। এসময় আলী হোসেন ঘরের বাইরে বের হলে তাকে ধরে ঘরের পাশে একটি সুপারি বাগানে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করা হয়।
এদিকে খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সিদ্দিকুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত আলী হোসেনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আজ ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
সোনিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, স্থানীয় ফরিদের সঙ্গে আলী হোসেনের পূর্ববিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে ফরিদ, জানে আলম, মিরাজ ও তাদের সহযোগীরা আলী হোসেনকে ডাকাত সাজিয়ে হত্যা করেছে।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, আলী হোসেনকে মারধরের ঘটনায় রোববার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।