বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র মিথ্যা নিউজ পরিবেশন ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের জন্য নানা ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে। দুষ্ট চক্র বিভিন্ন সময়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মতিনকে ফোন করে দুদকে এ অভিযোগ করার ভয়ও দেখাচ্ছেন। আব্দুল মতিন এই মিথ্যা,বানোয়াট অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি দুষ্ট চক্রের চক্রান্ত থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আব্দুল মতিন দাবি করেছেন, বিআইডব্লিউটিএ’র সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) “মো: আব্দুল মতিনের” নামের সাথে তার নাম হুবহু মিল থাকায় স্বার্থন্বেষী মহল এই মিথ্যা, বানোয়াট নিউজ এর সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছেন। তাকে জড়িয়ে সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো: আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগে উল্লেখিত, ৪ হাজার ৫১৫ কোটি ৫২ লাখ টাকার ৩৫টি ড্রেজার ও জলযান সংগ্রহ ও অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়ম অভিযোগ তার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। অথচ এই প্রকল্পের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা ছিলনা এবং নাই। তিনি চক্রান্তকারীদের মিথ্যা অভিযোগের প্রমান-পত্র চাইলে তারা তা দেখাতেও সক্ষম হয়নি। দুষ্টচক্র নির্বাহী মো: প্রকৌশলী আবদুল মতিন এর চ্যালেঞ্জ এর স্বপক্ষে কোন প্রকার প্রমাণ না করতে পেরে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মনগড়া অভিযোগ লিখে জমা দিয়ে ফোনে মতিনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। নির্বাহী প্রকৌশলী মো:আব্দুল মতিন সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে এই চক্রের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, টাঙ্গাইলে তার জায়গা-জমি নেই। মতিনের আয়কর বহির্ভূত কোন সম্পত্তি নেই। এমনকি তার স্ত্রীর নামেও আয়কর বহির্ভূত কোন সম্পত্তি নেই বলে জানান। কিছু ব্যক্তি তদন্ত ও যাচাই-বাছাই ছাড়াই মনগড়া নিউজ পরিবেশনের হুমকি দিচ্ছে আব্দুল মতিনকে।
নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আব্দুল মতিন বলেন, আওয়ামী দোসররা এখনো বিআইডব্লিউটিএ’তে বিদ্ধমান। তারাই মতিন এর চাকরির শেষ সময়ে হয়রানি করার পায়তারা করছেন। তাদের উদ্দেশ্য বিআইডব্লিউটিএ’র সৎ ও মেধাবি কর্মকর্তাদের অহেতুক হয়রানি করা। এজন্য আওয়ামী দোসররা কিছু ভূঁইফোর ও অপেশাদার সাংবাদিকদের তার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। এসব সাংবাদিকরা কোন প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই নিউজের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের জন্য প্রতিনিয়ত ডিস্টার্ব করছেন। তারা মতিনকে ফোন বা অফিস কক্ষে না পেলে উপরস্থ অফিসারদের কক্ষে গিয়ে নানা অপবাদ দিচ্ছে। এহেন মিথ্যা অপবাদ এর সাথে জড়িত ব্যক্তিরা সংবাদপত্র ও পেশাদারত্ব’র মান দারুণভাবে ক্ষুন্ন করছেন। তাদেত ভাষা ও আচরণ সংবাদপত্রের নীতি নৈতিকতার মধ্যে পড়েনা। তারা সঠিক নির্ণয় এবং তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই ছাড়া সংবাদ পরিবেশনের কারণে আসল তথ্য উঠে আসছেনা। নির্বাহী মো: প্রকৌশলী আব্দুল মতিন মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সংগ্রকারীদের কবলে পড়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। দুষ্টচক্র অভিযুক্ত সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো:আব্দুল মতিন (ড্রেজিং)কে না পেয়ে নির্দোষ নিবার্হী প্রকৌশলী মো: আব্দুল মতিন এর উপর সব দুর্নীতির অভিযোগ চাপিয়ে দিচ্ছে। তিনি এই ভিত্তিহীন অভিযোগ থেকে বাঁচতে সব ধরনের চেষ্টা করেও সঠিক ও ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত। তিনি সর্বশেষ এই কু-চক্র মহলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবেন।