সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরও ৫ বছরের মধ্যে তদন্ত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যদি হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার প্রমাণ পায় তবে ওই ব্যক্তির সদস্যপদ বাতিল করা যাবে বলে জানিয়েছেন ইসি আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কারের একগুচ্ছ সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। এমন একগুচ্ছ সংশোধনী এনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ চূড়ান্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে ভোটিংয়ের জন্য পাঠিয়েছে ইসি।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, হলফনামায় কোনো প্রার্থী মিথ্যা তথ্য দিলে নির্বাচিত হওয়ার পর পাঁচ বছর মেয়াদের মধ্যে ইসি স্বপ্রণোদিত হয়ে বা কোনো তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাকে রিকল করতে পারবে। মিথ্যা তথ্য দেওয়ার বিষয়টি প্রমাণ হলে তার প্রার্থিতা, এমনকি সংসদ সদস্যপদও বাতিল হবে। তবে পাঁচ বছর মেয়াদের পর তা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে থাকবে না।
তিনি আরও জানান, হলফনামায় যদি কেউ মিথ্যাচার করে, হলফনামায় যদি মিথ্যা তথ্য দেয়, তাহলে সেটার ব্যাপারে তদন্ত করে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আরপিওতে আরও সুনির্দিষ্টভাবে বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। এ সময়কালটা হবে যে অফিসের জন্য উনি নির্বাচনটা করছেন সেই অফিসের মেয়াদকাল (এমপি পদের মেয়াদ) পর্যন্ত। এরপরে স্বাভাবিকভাবে ফৌজদারি মামলা অন্যভাবে হতে পারে।
তিনি বলেন, যে অফিসের জন্য অর্থাৎ যে ডিউরেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এমপি নির্বাচিত হলেন এ অফিসের জন্যই তো নির্বাচনটা করেছেন। এ অফিসের নির্বাচনের জন্যই তিনি হলফনামাটা দিয়েছেন। সুতরাং এ সময়কালে যদি হলফনামায় কোনো ধরনের অত্যুক্তি, বিচ্যুতি, মিথ্যা তথ্য যদি দেওয়া হয়; তাহলে তদন্ত করে রিকল করে প্রয়োজনে তার ক্যান্ডিডেচার ক্যান্সেল (প্রার্থিতা বাতিল) করা হবে। নির্বাচিত এমপিও হতে পারেন, আইনের আওতায় আসতে পারেন এবং তার পদ চলে যেতে পারে।