বিদেশে গিয়ে পরিবারের দুঃখ ঘোচানোর স্বপ্ন ছিল নুর মোহাম্মদ আকাশের। কিন্তু সেই স্বপ্ন নিভে গেছে আগুনে। মৃত্যুর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও সৌদি আরবে অগ্নিকাণ্ডে নিহত আকাশের মরদেহ এখনো দেশে ফেরেনি।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার আন্দিকোট ইউনিয়নের সোনারামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আকাশ গত বছরের অক্টোবর মাসে পাড়ি জমান সৌদি আরবে। রিয়াদ এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পে চাকরি করতেন তিনি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেই পাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা যান আকাশ।
পরিবারের দাবি, আকাশের মরদেহ এখনো রিয়াদের একটি হাসপাতালে রাখা আছে। প্রতিদিন ছেলের কাপড়চোপড় ও ছবি আঁকড়ে ধরে কাঁদছেন মা সাহিদা বেগম।
তিনি বলেন, আমার আকাশ কষ্ট দূর করতে বিদেশ গিয়েছিল। আপনারা আমার ছেলের লাশটা এনে দেন, আমি তাকে বুকে জড়িয়ে মাটি দেব, শান্তি পাব।
বাবা রফিকুল ইসলাম সরকারের আকুতি, ৯ মাস আগে বিদেশ গেছে, ৩ মাসের মধ্যে আগুনে মারা গেছে। ৬ মাস হলো লাশ আনতে পারিনি। সরকারের কাছে অনুরোধ, লাশটা দেশে আনার ব্যবস্থা করুন।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুর রহমান বলেন, ঘটনাটি আগে জানানো হয়নি। আজকে প্রথম জানলাম। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।