Sunday , 3 August 2025 | [bangla_date]
  1. ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
  2. Alor Dhara24 News
  3. অন্যান্য
  4. আড়াইহাজার
  5. এন আই সি ইউ
  6. ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল
  7. কো-অর্ডিনেটর
  8. খেলা
  9. খেলাধুলা
  10. জ্বালানী তেল বিপনন বন্ধ
  11. ধর্ম
  12. নারায়ণগঞ্জ
  13. নারায়ণগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন বৃহত্তর শিমরাইল উপ কমিটির অফিস উদ্বোধন
  14. নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেপ্তার
  15. নিষিদ্ধ হলো আওয়ামী লীগ

সাজাপ্রাপ্ত ওয়াহিদা বেগম আবার রাকাবের এমডি! অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ

প্রতিবেদক
AlorDhara24
August 3, 2025 7:36 am

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদা বেগম। অথচ মাত্র কিছু মাস আগেই হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই ব্যাংকিং মহলে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।

সাংবাদিক ও জুলাই আন্দোলনের একজন যোদ্ধা জাভেদ হোসেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন। তিনি সেখানে ওয়াহিদা বেগমকে “ফ্যাসিবাদের দোসর” উল্লেখ করে অবিলম্বে তার অপসারণ এবং দৃষ্টান্তমূলক শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

২০২৪ সালের ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে ওয়াহিদা বেগমসহ অগ্রণী ব্যাংকের আরও ৪ কর্মকর্তাকে আদেশ অমান্য করার দায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। রাজধানীর দিলকুশাস্থ মুন টাওয়ারকে কেন্দ্র করে একটি ঋণসংক্রান্ত মামলায় এ রায় হয়।

হাইকোর্টের এই রায়ের পরও তার মতো একজন বিতর্কিত কর্মকর্তা কীভাবে আবার এমডি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

অভিযোগ রয়েছে, ওয়াহিদা বেগম অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরত থাকা অবস্থায় ঘুষ দিয়ে পদোন্নতি এবং বদলি বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের এক প্রমোশনে তিনি প্রায় ৪০ জন কর্মকর্তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ আদায় করেন।

এছাড়া, তার বিরুদ্ধে কর্পোরেট গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ অনুমোদন, সিন্ডিকেট চালানো, এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ ও প্রমোশন বাণিজ্য চালানোর অভিযোগও রয়েছে।‌এসব বিষয়ে দুদকে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে বলেও জানা গেছে।

চলতি বছরের ৯ মার্চ ওয়াহিদা বেগম রাকাবের এমডি হিসেবে যোগদান করেন। ব্যাংকিং মহলের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, তিনি আগের সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির ধারা আবারো সক্রিয় করছেন।

রাজশাহীর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বলছেন,
“একজন দণ্ডপ্রাপ্ত, বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তার এভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদে ফিরে আসা শুধু অর্থনৈতিক নয়, প্রশাসনিকভাবেও ঝুঁকিপূর্ণ।”

সাংবাদিক জাভেদ হোসেন তার আবেদনে বলেন, “যে কর্মকর্তা হাইকোর্টে দণ্ডিত হয়েছেন, যিনি দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত, তাকে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে রাখা যায় না। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের আদেশ, প্রশাসনের নৈতিকতা এবং ব্যাংকিং খাতের জবাবদিহিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে।”

তিনি দ্রুত ওয়াহিদা বেগমকে এমডি পদ থেকে অপসারণ করে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।

সর্বশেষ - শহরের বাইরে

আপনার জন্য নির্বাচিত