পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে লাইভে রেখে রুমন মিয়া (৩৫) নামের এক প্রবাসী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ২৬ জুলাই ওমানের সালালাহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রোববার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় নিহত রুমনের ভায়রা ওবায়দুল হক ওমান থেকে তথ্যটি নিশ্চিত করেন। নিহত রুমন মিয়ার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৯ বছর আগে পারিবারিকভাবে খালাতো বোন পান্না আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় রুমনের। বিয়ের চার মাস পর রুমন ওমানে পাড়ি জমান। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এসময় পান্না তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করতে থাকেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ও কলহের সৃষ্টি হয়। সবশেষ ২৬ জুলাই স্ত্রীকে ভিডিও কলে যুক্ত করেন রুমন। এসময় পরকীয়ার একটি ভিডিও নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্ত্রীকে লাইভে রেখেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন রুমন।
এ বিষয়ে রুমনের স্ত্রী পান্না আক্তার বলেন, আমাকে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করছে দেখে লাইভ কেটে দেই। এরপর একই ফ্যাক্টরিতে কাজ করা আমার মামাতো বোনের স্বামী ওবায়দুল হককে বিষয়টি জানাই। তিনি গিয়ে দেখেন রুমন ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন। তখন আমি জানতে পারি আমার স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। তবে আমার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ সত্য নয়।
রুমনের মা বলেন, আমি শখ করে বোনের মেয়েকে পছন্দ করে বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকে তারা আলাদা থাকে। আমার খোঁজ রাখতো না। লোক মারফত জানতে পারি আমার পুত্রবধূ পরকীয়ায় জড়িয়ে গেছে। যদি এই কারণে আমার ছেলে আত্মহত্যা করে থাকে, তাহলে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
নিহতের ভাই আবদুল মমিন বলেন, ভাই প্রবাসে থাকায় ভাবী স্থানীয় আবদুল কাদের নামে এক নেতার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তখন দলীয় দাপটের কারণে আমরা এ বিষয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করতে পারিনি। আজ তাদের পরকীয়ার বলি হলো আমার ভাই। আমি প্রশাসনের কাছে তদন্ত পূর্বক এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ফোনে নিহতের এক স্বজন আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে এখনো থানায় কেউ আসেনি। তারা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।