পুলিশ বাহিনীর দায়বদ্ধতা, নৈতিক বাধ্যবাধকতা নিশ্চিতকরণ ও পুলিশি সেবা জনবান্ধব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে একটি ‘স্বাধীন পুলিশ কমিশন’ গঠনের প্রস্তাবে সব রাজনৈতিক দল এক মত হয়েছে। রোববার (২৭ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ১৯তম দিনের বৈঠকের সন্ধ্যা বিরতিতে এই তথ্য জানান কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে পুলিশ কমিশন সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব হাজির করা হয়েছিল এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও জোট সমূহের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ কমিশন বিষয়ে আজকের ঐকমত্যকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করছি। কেননা পুলিশের বিরুদ্ধে নাগরিকদের উত্থাপিত অভিযোগগুলোর যথাযথ তদন্ত ও সেগুলোর ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে আমরা সবসময় ব্যত্যয় লক্ষ করেছি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো এ সংস্কারের বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে এবং বাংলাদেশের পুলিশি ব্যবস্থায় একটি বড় রকমের পরিবর্তনের সূচনা হবে।
এর আগে বেলা ১১টায় বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বিএনপি ও জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা উপস্থিত আছেন। আজকের দিনে ৩টি বিষয়ের আলোচনা শেষ হয়েছে এবং নতুন আরেকটি বিষয়ের আলোচনা এখনো চলমান রয়েছে।