সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ন্ত্রনে মাদক ব্যবসা, চাদাঁবাজি ও কিশোরগ্যাং সদস্যরা গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির পক্ষ থেকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দলীয়ভাবে কঠোর অবস্থান নিলেও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সুযোগ সন্ধানী কিছু আওয়ামী লীগ নেতাদের বিএনপিতে পুনর্বাসন করার অভিযোগ উঠেছে। নাসিক ১নং ওয়ার্ডের তালতলা ক্লাব এলাকার কিছু আওয়ামীলীগ নেতা রাতারাতি বনে যায় বিএনপি’র নেতা। তারা বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করেই এলাকায় ফের নিয়ন্ত্রন করতে শুরু করেছে মাদক ব্যবসা, চাদাঁবাজি সহ কিশোর গ্যাংয়ের মতো বিভিন্ন অপকর্ম । অনেকেই ঘোলাটে পরিস্থিতিতে রঙ্গ বদল করে বিএনপিতে নিজের অবস্থান তৈরি করার চেষ্টা করেছেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ের অনেক মাদক ব্যাবসায়ী, ছিনতাইকারীও চাঁদাবাজ নেতারা। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপিতেও রাতারাতি অনুপ্রবেশ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী ইয়াসিন ও আওয়মীলীগের ১নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর হাজী আনোয়ারের ঘনিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা গাজী মনির , গাজী মাসুম ও আওয়ামী চাদাঁবাজ মৃত বাবুলের ছেলে স্বপন ও সোহান গংরা।
জানাযায়, নাসিক ১ নং ওয়ার্ডের বিভিন্নস্থানে গাজী মনির, গাজী সোহান, গাজী স্বপন, গাজী সাজিদ, শিপলু, ফারুক আহমেদ, বিল্পব সজিব হোসেন, সাফিন, উদয় সহ একাধিক অনুপ্রবেশকারী বর্তমানে বিএনপি’র পরিচয়ে এলাকায় মাদক ব্যাবসা করে যাচ্ছে । বিগত সরকারের সময়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় তাদের ব্যাবসা পরিচালনা করলেও এখন ভোল্ট পাল্টিয়ে তাদের এই ব্যাবসা অব্যাহত রেখেছে। কিছুদিন তাদের ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসায়ী মোস্তফা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও তারা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাহিরে। গাজী মনির ও মাছুম আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের নেতা এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নাসিক ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। মনির, মাসুম ও সোহান ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর পটপরিবর্ত করে বিএনপির কয়েকজন নেতার সঙ্গে সখ্যতার মাধ্যমে বিএনপি বনে যায়। মনির ও তার পরিবার তারা এখন প্রকাশ্যে বিএনপির লোক দাবি করে বেড়াচ্ছে ।
মাদক মামলায় গ্রেফতারকৃত বি এন পি নেতা মোস্তফার ব্যাপারে চাঞ্চল্য তথ্য দিল এলাকাবাসী জানায় মাদকের মুল চক্র এখনো গ্রেফতার হয়নি তাদের সেল্টারেই মাদক ব্যবসা করছে মোস্তাফা গাজী পরিবারের শেল্টারেই মোস্তফা দেদারছে মাদক ব্যাবসা করেছে। গাজী পরিবার ৫ আগস্টের আগে ডিবি পুলিশ এর সোর্স হিসেবে কাজ করতো, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে। তারা এলাকার নিরীহ মানুষদেরকে বিএনপি নেতা বানিয়ে গ্রেপ্তার বাণিজ্য করত এবং লাখ লাখ টাকা আত্তসাত করত কেউ কথা কইলে তাকে মাদক দিয়ে দরিয়ে, মামলা দিত তাই এলাকার লোক জন ভয়ে চুপ করে থাকে। এখন তারা ৫ই আগস্টের পর বিএনপির নেতা দাবি করছে।