সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৭নং ওয়ার্ড কদমতলী এলাকার নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগের দোসর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র হত্যা মামলার আসামী সন্ত্রাসী মাদক ব্যাবসায়ী তাজুল ইসলামের কালো থাবা পড়েছে আদমজী ইপিজেডে পুর্বের মত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ইপিজেডের একাধিক প্রতিষ্ঠান দখলে নেয়ার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাযায়, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসী তাজুল ইসলাম গত সরকারের সময় সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজ দখলে রেখে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পরিচালনা করতো নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের ছত্রছায়ায়। বর্তমানে তাজুল স্থানীয় বিএনপি’র কিছু নামধারী নেতাদের ছত্রছায়ায় ফের আদমজী ইপিজেডের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখলে নেয়ার পায়তারা করছে । তাজুলের এহেন কর্মকান্ডে রীতিমতো হতভম্ব হয়ে পড়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জের বিএনপি নেতাকর্মীসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা । তারা প্রশাসনের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন একজন নিষিদ্ধ আওয়ামী দোসর হত্যা মামলার আসামী হয়েও কিভাবে প্রকাশ্যে নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আদমজী ইপিজেডের মতো স্থানে ব্যাবসা নিয়ন্ত্রন করতে পায়তারা করছে।
জানাযায়, সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৭নং ওয়ার্ডের কদমতলী মধ্যপাড়া এলাকার নিষিদ্ধ আওয়ামী সন্ত্রাসী নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের অস্ত্রধারী ক্যাডার তাজুল ইসলাম । আওয়ামী ক্ষমতার ১৭ বছর সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা এলাকায় এমন কোন অপকর্ম নেই যা তাজুল বাহিনী করেনি। স্থানীয় সাংসদের কাছের লোক হওয়ার সুবাধে অত্র এলাকার মাদক ব্যাবসায়, জমি দখল, চাদাঁবাজি করেছেন রীতিমতো তার ভয়ে ঐসময় এলাকার সাধারন মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি। সন্ত্রাসী তাজুলের ভাই জহির অত্র এলাকার মাদকের সম্রাট তার মাধ্যমে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মাদক সরবারহ করা হয়ে থাকে জহিরের নামেও রয়েছে নারায়ণগঞ্জ ঢাকার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা। এলাকার সাধারন মানুষ জানায়, গত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময় সন্ত্রাসী তাজুল বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলো কদমতলী, আদমজী তথা সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার সাধারন মানুষসহ ব্যাবসায়ীরা তাকে চাদাঁ না দিয়ে কেউ এলাকায় ব্যাবসা, জমিক্রয় ও বাড়ি নির্মান করতে পারেনি। চতুর তাজুল এলাকাবাসীর কাছে একজন দক্ষিন কোরিয়ার ব্যাবসায়ী বলে পরিচিত হলেও এর বাহিরে রয়েছে একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী । কোরিয়ার সাথে তার অবৈধ হুন্ডির ব্যাবসা রয়েছে বলে একাধিক সুত্রে জানাগেছে। এছাড়াও তাজুল সাবেক কাউন্সিলর আলাউদ্দিন ও রিপনের অর্থেও যোগানদাতা হিসেবেও এলাকায় বেশ পরিচিত ।
সুত্রে জানায়ায়, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে তার নির্দেশে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হামলা আগুন ভাংচুর ও অস্ত্রসহ মালামাল লুট করে নেয় এই সন্ত্রাসী তাজুল বাহিনী । গত জুলাই ও আগষ্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শামীম ওসমানের নির্দেশে ঢাকার সাইনবোর্ড এলাকা থেকে শুরু যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত তাজুল তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তান্ডব চালায় আন্দোলনরত নীরিহ ছাত্র জনতার উপর য়ার একাধিক প্রমান রয়েছে প্রশাসনের কাছে । পরবর্তীতে তাজুলের নামে গত ২৬ ফেব্রয়ারি ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় ছাত্র আন্দোলনের একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে যার নং ৮০। ঐ মামলার প্রধান আসামী সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আর তাজুল ঐ মামলার ২০৭ নং এজাহার ভুক্ত আসামী।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপি’র একাধিক নেতাকর্মী বলেন, সন্ত্রাসী তাজুল আওয়ামী দোসর ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামী হয়ে কিভাবে প্রকাশ্যে নারায়ণগঞ্জ প্রশাসনকে এভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও প্রশাসন কোন ব্যাবস্থা না নেয়ায় অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। তারা অবিলম্বে সন্ত্রাসী তাজুলকে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য সেনাবাহিনীসহ প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেনে।
