আধিপত্য বিস্তার ও বন্দর অটোরিকশাস্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের বিরোধের জেরে আবদুল কুদ্দুস (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনার পর নিহত ব্যক্তির স্বজন ও এলাকাবাসী লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
শনিবার (২১ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের শাহী মসজিদ হাফেজিবাগ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত কুদ্দুস বন্দরের শাহী মসজিদ হাফেজিবাগ এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তার ও বন্দর অটোরিকশাস্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন যাবৎ স্থানীয় বিএনপির সমর্থক বাবু-মেহেদি এবং রনি-জাফর পক্ষের মধ্যে বিরোধ ও সংঘর্ষ চলছিল। গত শুক্রবার দুই পক্ষ লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে সংঘর্ষ জড়ায় তাতে বেশ কয়েকজন আহত হন। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রনি-জাফর পক্ষের পারভেজের বাবা আবদুল কুদ্দুস চা পান করতে বন্দর স্ট্যান্ডে যান। এ সময় তাকে চায়ের দোকান ডেকে নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে জখম করেন। আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশার কর্মী ও রনি-জাফর গ্রুপের নেতা জাফর বলেন, “বাবু-মেহেদী গ্রুপ আশার নাম ভাঙিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে আসছিল। আমি এর প্রতিবাদ করায় হান্নান সরকারের নির্দেশে তারা আমাকে হত্যার হুমকি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমাকে না পেয়ে আমাদের পক্ষের অনুসারী পারভেজের বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তারা।”
তবে অভিযোগ অস্বিীকার করে ২১ নং ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর ওমহানগর বিএনপি নেতা হান্নান সরকার জানান, “কে-বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমার জানা নেই। তবে আমি এর সঙ্গে জড়িত নই। একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।” নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেন, হান্নান সরকারের লোকজন আব্দুল কুদ্দুসকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছেন। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।