গাইবান্ধার পৌর শহরে মসজিদে ইফতারের দেড় টন চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ওই বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলাম সেলিম
পৌর বিএনপির ৫ নং ওয়ার্ড শাখার আহবায়ক।
জানাযায়,গাইবান্ধা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের আদর্শপাড়া জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য মাননীয় জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করা হলে গাইবান্ধা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে অত্র মসজিদে রমজানে মুসল্লীদের ইফতার করানোর জন্য (জিআর) ফান্ড হিসাবে দেড় টন চাল বরাদ্দ প্রদান করা হয়।যা গত ২৭ মার্চ ২৫ ইং তারিখে মসজিদের সভাপতি হিসাবে পৌর বিএনপির ৫ নং ওয়ার্ড শাখার আহবায়ক,শরিফুল ইসলাম সেলিম উত্তলন করেন।যা মসজিদ কমিটির সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক সহ কমিটির আর কেউ জানতেন না।
পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে মসজিদ কমিটির সদস্য বৃন্দ সহ এলাকার সাধারণ মুসল্লীদের মাঝে ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মসজিদে নামাজ পড়া কয়েকজন মুসল্লী বলেন,সেলিম মিয়া আদর্শ পাড়া জামে মসজিদের একজন সাধারণ মুসল্লী।মসজিদের একজন সাধারণ মুসল্লী হয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি না হয়েও মসজিদ কমিটির সভাপতি হিসাবে সাক্ষর করে জালিয়াতি করে কিভাবে মসজিদের বরাদ্দকৃত দেড় টন চাল তাও আবার ইফতার বাবদ আত্মসাৎ করতে পারেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।
তারা আরো জানান,এই সেলিম মিয়া মসজিদের নামে আরো বিভিন্ন ফান্ডের বরাদ্দকৃত অর্থ বিভিন্ন অজুহাতে আত্মসাতের সাথে জড়িত রয়েছেন।মহান আল্লাহ পাকের ঘড় মসজিদ ঘড়।সেই পবিত্র ঘড়ের বরাদ্দের চাল আত্মসাতের সাথে তিনি সহ যারা যারা জড়িত তাদের সবার শাস্তির দাবিও জানান তারা।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ ইউসুফ মিয়া বলেন,মসজিদে চাল বরাদ্দের ব্যাপারে বা উত্তোলনের বিষয়ে আমি কোন কিছুই জানি না বলতেও পারি না।তবে কিছু দিন আগে জেনেছি আমাদের ওয়ার্ডের বিএনপির আহবায়ক সেলিম মিয়া অত্র মসজিদ কমিটির সভাপতি হিসাবে পিআইও অফিসের চাউল উত্তোলন সীটে সাক্ষর করে দেড় টন চাল ইফতার বাবদ উত্তোলন করেছেন। আরো বলেন,তিনি শুধু চাল আত্মসাতই নয় বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি মূলক কাজের সঙ্গে বিভিন্নভাবে জড়িত, তার ভয়ে এলাকায় কেউ কোনো কিছু বলতে পারে না।
চাল বরাদ্দ ও উত্তলন বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজুল ইসলামের নিকট জানার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এ দিকে সচেতন মহল বলছেন,সরকারি দপ্তরের এত নিয়ম-নীতির মধ্যেও কিভাবে মসজিদের চাল আত্মসাত হয়।এখানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবশ্যই দায়ী।এই চাল আত্মসাতের সাথে যারা যারা জড়িত সে যে দলেরই হোক বিষয়টি সঠিক ভাবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের হস্তক্ষেপও কামনা করেন তারা।