Wednesday , 18 June 2025 | [bangla_date]
  1. ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
  2. Alor Dhara24 News
  3. অন্যান্য
  4. আড়াইহাজার
  5. এন আই সি ইউ
  6. ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল
  7. কো-অর্ডিনেটর
  8. খেলা
  9. খেলাধুলা
  10. জ্বালানী তেল বিপনন বন্ধ
  11. ধর্ম
  12. নারায়ণগঞ্জ
  13. নারায়ণগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন বৃহত্তর শিমরাইল উপ কমিটির অফিস উদ্বোধন
  14. নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেপ্তার
  15. নিষিদ্ধ হলো আওয়ামী লীগ

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কে? যাকে হত্যা করতে চায় ইসরায়েল

প্রতিবেদক
AlorDhara24
June 18, 2025 9:51 am

ইসরায়েল-ইরানের মধ্যকার সংঘাত যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দুজনেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

তবে খামেনির ওপর যদি সরাসরি হামলা চালানো হয়, তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে এক বিপজ্জনক সংকটে ঠেলে দিতে পারে।

 

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হলেন মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তি। গত প্রায় চার দশক ধরে তিনি ইরানকে শাসন করে আসছেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, ইরানের বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচি এগিয়ে নিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও আন্দোলন দমন করেছেন।

সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে খামেনি ইরানের সরকার, বিচার বিভাগ, সামরিক বাহিনী, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এবং কুদস ফোর্স–এর ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখেন।

এই কুদস ফোর্সই হামাস, হেজবুল্লাহ এবং হুথি বিদ্রোহীদের মতো প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে।

খামেনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৯ সালে ইরানের পবিত্র নগরী মাশহাদে। তিনি ছিলেন আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি’র শিষ্য, যিনি ১৯৭৯ সালের ইরান বিপ্লবের মাধ্যমে দেশটির প্রো-ওয়েস্ট রাজতন্ত্রকে উচ্ছেদ করেন ও ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৮১ সালে খামেনি একটি হামলার শিকার হন, যাতে তার ডান হাত স্থায়ীভাবে বিকল হয়ে যায়। খোমেনির মৃত্যুর পর ১৯৮৯ সালে, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার পর থেকে খামেনি ইরানের সীমান্ত ছাড়িয়ে আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারে মনোযোগ দেন। অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স নামে পরিচিত একাধিক মিত্র গোষ্ঠী গড়ে তোলেন যা লেবানন থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত বিস্তৃত।

এই দীর্ঘ সময় ইরান সরাসরি যুদ্ধে না জড়ালেও, সব কিছু বদলে যায় যখন ৭ অক্টোবর ২০২৩-এ হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়।

 

এর পর গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ, হেজবুল্লাহর ওপর আক্রমণ এবং ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র ও শীর্ষ সামরিক নেতাদের ওপর ইসরায়েলের বিমান হামলা ইরানের অজেয় ভাবমূর্তি ভেঙে দেয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প খামেনিকে সহজ লক্ষ্যবস্তু বলে অভিহিত করেছেন। এই মন্তব্য কেবল কূটনৈতিক উত্তেজনা নয়, বরং একটি সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের সংকেতও বহন করে।

একজন সর্বোচ্চ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত যে কতটা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, তা কল্পনা করাও কঠিন। এই মুহূর্তে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি রয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতির কেন্দ্রে।

সর্বশেষ - শহরের বাইরে

আপনার জন্য নির্বাচিত