পিরোজপুরে জমতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। তবে বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন গরু ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। এতে হাট অনেকটা ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, পিরোজপুরের পাঁচপাড়া বাজারে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট কিন্তু বিকেল ৩টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে ভোগান্তিতে পড়েন গরু ব্যবসায়ীরা। বৃষ্টির কারণে ধীরে ধীরে ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে হাট। একই দৃশ্য অন্য হাটগুলোতেও। বৃষ্টির কারণে হাটে ক্রেতা কমছে।
পাঁচপাড়া হাটের কয়েকজন বেপারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃষ্টির কারণে গরু নিয়ে তারা অনেক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না গরু। ক্রেতারা যারা এসেছিলেন, বৃষ্টির কারণে আস্তে আস্তে তারা চলে চলে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর হাটে ক্রেতা খুব কম বিগত বছরের তুলনায়।
গরু বেপারী ডালিম শেখ বলেন, আমি পাঁচটি গরু নিয়ে এসেছি পাঁচপাড়া বাজারে। আজকের হাটে অন্তত তিনটি গরু বিক্রি করবো এমন প্রত্যাশা ছিল কিন্তু বৃষ্টির কারণে হাট থেকে ক্রেতারা চলে যাচ্ছে। হাটের পরিবেশ স্যাতস্যাঁতে হওয়ার কারণে ক্রেতারা আর ঢুকতে চাচ্ছেন না। আমি পাঁচটি গরু ১৩ লাখ টাকায় কিনে এনেছি।
স্থানীয় মৌসুমি গরু ব্যবসায়ী এম শিকদার বলেন, প্রতিবছর পাঁচপাড়া বাজারে প্রচুর গরু ওঠে ও অনেক মানুষ গরু কেনেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর তেমন ক্রেতা দেখা যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা এ বছর অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। কোনো ব্যবসায়ী প্রত্যাশা অনুযায়ী গরু বিক্রি করতে পারবে না। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কোরবানির দেওয়ার সংখ্যা কম হতে পারে। আমি হাটে সাতটি গরু এনেছি একটাও বিক্রি করতে পারিনি।
পিরোজপুর থেকে কোরবানির জন্য গরু কিনতে আসা আশিকুজ্জামান বলেন, পাঁচপাড়া বাজারে প্রচুর গরু ওঠে কিন্তু এ বছর গরুর সংখ্যা অনেক কম, দাম অনেক বেশি। বৃষ্টির কারণে হাটে স্যাঁতসেঁতে অবস্থা হয়েছে। তাই আজ আর গরু কিনবো না আগামীকাল দিঘির যান বাজার থেকে গরু কেনার চিন্তাভাবনা করছি।
পাঁচপাড়া বাজারের ইজারাদার আব্দুল হাই বলেন, পিরোজপুর পাঁচপাড়া বাজার একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। এখানে প্রতি বছর অনেক কোরবানির গরু বিক্রয় হয়। আজ (২ জুন) ক্রেতাদের তেমন সমাগম দেখা যাচ্ছে না কিন্তু আগামী বৃহস্পতিবার (৫ জুন) হাট রয়েছে। বৃহস্পতিবার অনেক গরু ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে ও প্রচুর ক্রেতাদের সমাগম হবে। গরু ব্যবসায়ীরা তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী গরু বিক্রি করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, হাটে কোনোরকম বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেদিকে পুলিশ দেখভাল করছে। জাল টাকা শনাক্ত করার জন্য মেশিন রয়েছে যেন কেউ কোন গরু ব্যবসায়ীর সাথে প্রতারণা করতে না পারে।