তিন প্রজন্মের কপাল পুড়লো ২ নং ঢাকেশ্বরীর হাটের ইজারায়
আর মাত্র কয়দিন পর মুসলিম উম্মাহ উদযাপন করবে পবিত্র ঈদ উল আযহা। এরই মধ্যে পশুর হাটের ইজারাও সম্পন্ন হয়েছে হাট গুলোতে আসতে শুরু করছে পশুর বেপারীরা। তবে নাসিক ১০ নং ওয়ার্ড ২ নং ঢাকেশ্বরী ইব্রাহীম টেক্সটাইল মিল সংলগ্ন মাঠের পশুর হাটকে ঘিড়ে কিছুটা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, এবার যারা হাটের ইজারা নিয়েছে তারা আগামী তিন জেনারেশনের কপাল পুড়েছে। সরকারি রেটের চাইতেও তিনগুণ টাকা দিয়ে এই হাট নিয়েছে।
এদিকে খোজ নিয়ে জানা যায়, বিগত ১৭ বছর পর এই প্রথম নাসিক ৮ ও ১০ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কোরবানির পশুর হাটের ইজারা নিতে কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যায়। টেন্ডরের আগেই একটি গ্রুপ হাট দখলে নিয়ে নেয়। এরপর হাটের ইজারা নিতে ৮ ও ১০ নং ওয়ার্ড থেকে ৫ টি দরপত্র দাখিল করা হয়। ৫টি দরপত্রের মধ্যে সরকারি মূল্যের চাইতেও দ্বিগুণ ১ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা (ভ্যাট যোগ হবে) সর্বোচ্চ মূল্য দিয়ে বিএনপি নেতা হাটের ইজারা আনেন এতে অন্যন্না বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এক বিএনপি নেতা বলেন, ৬০-৬৫ লাখ টাকার হাট তারা কীভাবে পৌনে ২ কোটি টাকায় নিয়ে আসে। যদি বছরে ১০ লাখ করে বাড়ে তাহলে ১০ বছরেও এতো টাকা ইজারা হবে না অথচ তারা এক লাফে বাড়িয়ে দিয়ে আগামী জেনারেশনকে হাট করা থেকে বঞ্চিত করলো। তারা এতো টাকা কোথায় পেলো, কোথা থেকে আসলো।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কোরবানির পশুর হাটকে ঘিড়ে বিএনপির কিছু লোকের মধ্যে উত্তেজনা দেখছি যেকোন সময় এটি সংঘর্ষের রুপ নিতে পারে। আমরা কোন সংঘাত চাই না। যেহেতু ঈদের আর মাত্র কয়দিন বাকী তাই যারা হাটের ইজারা নিয়েছে তাদের সাথে সম্মিলিতভাবে সকল বৈষম্য দুর করে হাট পরিচালনা করুক সকলে ভাগাভাগি করে ঈদের আনন্দ উপভোগ করুন। এর পাশাপাশি হাটকে কেন্দ্র করে কেউ যেনো রক্ত ক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হতে না পারে সেদিকে আমরা এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের জোর নজরদারী ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি।