এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ
এমন শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের অর্জিত মেধার ভিত্তিতেই ফল পাবে, রাষ্ট্র কোনো ‘খয়রাতি নাম্বার’ দেবে না। এমনটাই মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। তিনি বলেন, আমরা সকলেই চাই শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে। কারণ, সমাজের বৈষম্য দূরীকরণে শিক্ষক-শিক্ষা হচ্ছে সবচাইতে কার্যকর বাহন। এর মাধ্যমেই আমরা বৈষম্য দূর করতে পারি।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে নগরীর কালীরবাজার এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে আয়োজিত, ‘শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক আবরার বলেন, সবাইকে নিয়েই আমরা এমন কিছু নীতি প্রণয়ন করব। আসুন, আমরা সবাই মিলে এমন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এমন আকর্ষণীয় স্থান গড়ে তুলি, যাতে করে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ভাবতে পারে কখন তারা স্কুলে যাবে। তারা ছুটির দিনগুলোতে কেন ভাববে না, কেন আজকে স্কুল বন্ধ? আমরা আমাদের বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাব। আমরা স্কুলে খেলাধুলা করব।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়টি উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, অতীতে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক কারণে কীভাবে স্কুলগুলো নানান সমস্যার মধ্যে পড়েছে, সে অবস্থা থেকে যেন পরিত্রাণ ঘটে তার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে যারা রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবেন, তারা এই বিষয়গুলো যত্নের সাথে দেখবেন, যাতে স্কুলগুলো যেন শিক্ষার কেন্দ্রভূমিতে পরিণত হয়, তার জন্য তারা যত্নশীল থাকবেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতা এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।